অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সামরিক, রাজনৈতিক ও  বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কের আরও অবনতি


ফাইল ছবি: চীনের প্রেসিডেন্ট, শি জিনজিং চীন ও প্রভানসিয়াল নেতাদের উদ্দেশ্যে ফোরামে ভাষণ দিচ্ছেন। ১৯শে নভেম্বর, ২০১৪ /রয়টার্স
ফাইল ছবি: চীনের প্রেসিডেন্ট, শি জিনজিং চীন ও প্রভানসিয়াল নেতাদের উদ্দেশ্যে ফোরামে ভাষণ দিচ্ছেন। ১৯শে নভেম্বর, ২০১৪ /রয়টার্স

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা জানান অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্কের শীতলতা আরো বৃদ্ধি পায় গত সপ্তাহের কতগুলো ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া সরকার ঘোষণা করে, ২০২১ সালের শেষে চীন আপত্তি প্রকাশ সত্ত্বেও তারা মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে আরও সামরিক নিয়োগ দিচ্ছে। ফেব্রুয়ারী মাসে পশ্চিম ঘেষা দেশটি একটি লেজারের নিন্দা করেছিল যেটি একটি চীনা জাহাজ একটি অস্ট্রেলিয়ান সামরিক বিমানের দিকে তাক করেছিল এবং সেই মাসে সরকার অ্যান্টার্কটিক অনুসন্ধানের জন্য তার বাজেট বাড়িয়েছিল – আরেকটি জায়গা যেখানে চীনকে প্রতিযোগী হিসাবে দেখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রান্ড গবেষণা সংস্থার উর্ধতন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান বলেন "চীন -অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক হয়তোবা ইউএস -চীন সম্পর্কের চাইতে আরো খারাপ হতে পারে"। তিনি বলেন "দেখে মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়া-চীনের সম্পর্ক তীব্র বিদ্বেষের মাত্রায় চলে গেছে"।

গত বছর সামরিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন ক্রয় সংক্রান্ত "অকাস" নামের চুক্তি সই করা হয়। চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান চীন জানায় অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে চীন আগামী শতাব্দীতে বিপুল অর্থ ব্যয় করবে।

অস্ট্রেলিয়া সরকার জানায় যে তারা আগামী কয়েক দশকে ৫৮ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করবে। সেই বাজেটের আওতায় তারা ড্রোন ও পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার দুর্গম অংশের মানচিত্র নির্ণয় এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ কেনার সুযোগ পাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ওয়েব সাইট থেকে জানানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও চী্নের মধ্যে ক্রমাগতভাবে ২০ ১৩ থেকে বিভাজন বাড়ছে।

জোটের বিশ্লেষকেরা জানান, চীন অস্ট্রেলিয়া-ইউএস-এর ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত।

দক্ষিণ চীন সাগরের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন এবং ক্যানবেরা জাপান এবং ভারতের সাথে নিয়মিত বৈঠক করে - একটি জলপথ যা বেইজিং তার নিজের বলে দাবি করে অন্য পাঁচটি এশীয় সরকারের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও।

অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত শিয়াও বলেন, " আশা করা যায় যে উভয় পক্ষ অতীত পর্যালোচনা করতে এবং ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করবে, পারস্পরিক সম্মান, সমতা এবং সুবিধার নীতি মেনে চলবে এবং চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে"।

XS
SM
MD
LG