অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের


জাতিসংঘের লোগো।
জাতিসংঘের লোগো।

বাংলাদেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক কার্যক্রম বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (মার্চ ১৪) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের প্রতি এ আহ্বান জানান। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর র‍্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের কর্মীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ হুমকি, চাপ প্রয়োগ ও হয়রানি শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভুক্তভোগী অন্তত ১০টি পরিবারের বাড়িতে গভীর রাতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

অভিযানকালে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও ভয় দেখানো, সাদা কাগজে বা আগে থেকেই লিখে রাখাবিবরণে তাদের সই করতে বাধ্য করার কথা উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে বলা হয়, সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বারবার নাগরিক সমাজের কিছু সংগঠনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কাছে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ করছেন, যা নাগরিক সমাজের মূল কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞগণ বলেন, প্রকাশিত প্রতিশোধমূলক কাজগুলি অন্যদের মনে ভীতির সঞ্চার করতে পারে, যা মানবাধিকারসহ জনস্বার্থ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বা জাতিসংঘের বা এর প্রতিনিধি এবং ব্যবস্থাদির সাথে সহযোগিতা করতে তাদেরকে বিরত রাখতে পারে।

তারা বলেন, আত্মীয়স্বজন ও মানবাধিকার কর্মীরা যাতে তাদের বৈধ কাজকর্ম নিরাপদ ও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে কোনো হুমকি, চাপ বা প্রতিহিংসার ভীতি ছাড়া করে যেতে পারেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এসব গুরুতর অভিযোগের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ-বিশদ অনুসন্ধানসহ স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য দায়বদ্ধ।একইসঙ্গে র‍্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাকেও তদন্ত ও ফৌজদারি দায় থেকে রেহাই দেয়া উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞগণের মধ্যে আছেন জাতিসংঘের বলপূর্বক অথবা অনৈচ্ছিক অন্তর্ধান বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের লুসিয়ানো হাজান (চেয়ার র‍্যাপোর্টিয়ার), মিস অ বালাদ (ভাইস চেয়ার), মিস গ্যাব্রিয়েলা সিট্রনি, মি. হেনিরিকাস মিকেভিকাস এবং ত-উং বাইক, মি. মরিস টিউবাল-বি, স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার অন এক্সট্রাজুডিসিয়াল, সামারি অর আর্বিটারি এক্সিকিউশন, নিলস মেলজার স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার অন টর্চার অ্যান্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট, মিস মেরি লঅলর, স্পেশাল ‌ র‍্যাপোর্টিয়ার অন দি সিচুয়েশন অব হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স, এলিনা স্টেইনার্তে (চেয়ার র‍্যাপোর্টিয়ার), মিরিয়াম এস্ত্রাদা-কাষ্টিলো (ভাইস চেয়ার), লেই টুমি, মুম্বা মালিলা, প্রিয়া গোপালান, ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আর্বিটারি ডিটেনশন, মি. ফাবিনা স্যালভিওলি, স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার অন দি প্রমোশন অব ট্রুথ, জাস্টিস, রিপারসন অ্যান্ড গ্যারান্টিজ অব নন-রেকারেন্স, মিস আইরিন খান, স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার অন রাইট টু ফ্রিডম অব ওপিনিয়ন অ্যান্ড এক্সপ্রেশন, মি. ক্লেমেন্ত এন. ভোলে, স্পেশাল‌ র‍্যাপোর্টিয়ার অন দি রাইটস টু ফ্রিডম অব পিসফুল অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড অব এসোসিয়েশন।

XS
SM
MD
LG