ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ধনকুবের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটি প্রথম ধাপ ছিল।
এখন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার ধনকুবেরদের বিশাল প্রমোদতরী, ভূসম্পত্তি ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ “জব্দ ও বাজেয়াপ্ত” করার তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য নতুন নতুন টিম গঠন করছে।
অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বুধবার প্রথমবারের মত ‘রেপো’ (আরইপিও) নামের একটি বহুপাক্ষিক টাস্ক ফোর্স তৈরি করেন। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য নতুন একাধিক প্রচেষ্টার একটি হল এইটি।
‘রাশিয়ান এলিটস, প্রক্সিস অ্যান্ড অলিগার্কস’ কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ হল রেপো নামটি। দলটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত ধনকুবের এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত ও বিচার করতে অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করবে।
দলটি বর্তমানে ৫০ জন ব্যক্তির বিষয়ে খতিয়ে দেখছে, যাদের মধ্যে ২৮ জনের নাম প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই প্রচেষ্টা একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন আইনের বিষয়টি রয়েছে। এর ফলে আইনী উদঘাটন প্রক্রিয়াটি কঠিন হয়ে উঠবে। আবার, রাশিয়ার ধনকুবেরদের জব্দ করা সম্পদের সাথে জড়িত নির্দোষ ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, সেসব নির্দোষ ব্যক্তিদের দণ্ডিত হওয়ার ঝুঁকির বিষয়টি রয়েছে।
এছাড়াও, সময় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তদন্ত করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
টাস্ক ফোর্সটি গঠনের ঘোষণা দেওয়ার সময় হোয়াইট হাউজ জানায় যে, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি এবং অন্যান্য দেশ, নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
নতুন এই দলটি, ক্লেপটোক্যাপচার নামের আরেকটি দলের পাশাপাশি কাজ করবে। বিচার বিভাগের নেতৃত্বাধীন ক্লেপটোক্যাপচার দলটি, রাশিয়া এবং দেশটির বিলিয়নিয়ারদের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কার্যকর করতে কাজ করে। দলটি এফবিআই, ট্রেজারি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য সংস্থার সাথে মিলিতভাবে কাজ করবে।