যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ব্যক্তিত্ব স্কেটার অ্যালিসা লিউ এবং তার বাবা প্রাক্তন রাজনৈতিক শরণার্থী আর্থার লিউ একটি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযানে লক্ষ্যবস্তুদের মধ্যে ছিলেন।যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অভিযোগ করেছে যে, চীনা সরকারের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়। গত বুধবার লিউ এসব তথ্য জানান।
আর্থার লিউ বলেছেন, তিনি ও তার মেয়েকে যথাক্রমে “ভিন্নমতালম্বী ৩” এবং “পরিবারের সদস্য” হিসেবে ফৌজদারি অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন যে, তিনি অভিযোগগুলো ঘিরে “সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অবগত নন”, তবে তিনি বলেন চীন “শূন্য থেকে ইস্যু বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অপবাদের দৃঢ় বিরোধী।“
ম্যাথু জিবুরিসের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছিল কিনা তা আর্থার লিউ-র মনে করতে পারছেন না। মঙ্গলবার জিবুরিসকে আন্তঃরাজ্য হয়রানি করার ষড়যন্ত্র এবং সনাক্তকরণের একটি উপায়ের অপরাধমূলক ব্যবহারসহ আরও অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫ লাখ ডলারের মুচলেকায় জিবুরিসকে মুক্তি দেয়া হয়।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন যে, জিবুরিসকে পরিবারের ওপর নজরদারি করার জন্য এবং একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে আর্থার লিউয়ের কাছে তার ও অ্যালিসা লিউ-এর পাসপোর্টের একটি অনুলিপি চাওয়ার জন্য জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।কোভিড-১৯ সংক্রান্ত একটি ভ্রমণ ‘প্রস্তুতি পরীক্ষা’র কথা বলে আর্থার লিউ-র কাছে পার্সপোর্টগুলো চাওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, আর্থার লিউ পাসপোর্ট দিতে না চাইলে জিবুরিস তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বিলম্ব বা বাতিল করার হুমকি দেন।
আর্থার লিউ বলেন, তার বয়স যখন বিশের কোঠায় তখন রাজনৈতিক উদ্বাস্তু হিসেবে তিনি চীন ত্যাগ করেন। কারণ ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কয়ার গণহত্যার পরে কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন।অবশেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন, আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম একজন প্রতিশ্রুতিশীল ক্রীড়াবিদকে লালন-পালন করেন।