ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের লাভিভ শহরের বিমানবন্দরটির নিকটে একটি এলাকায় শুক্রবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তাৎক্ষণিকভাবে হামলাটিতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে যে, লাভিভের মেয়র অ্যান্ড্রি সাডোভি বলেছেন, বিমানবন্দরটি সরাসরি হামলার শিকার হয়নি।
বিমানবন্দরটির আশপাশের এলাকায় একটি বিশাল ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা যায়।
অপরদিকে, বুধবারে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার মারিউপোলের একটি থিয়েটার থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষজন বের হতে শুরু করেছেন।
নাট্য থিয়েটারটিতে শিশুসহ শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ম্যাক্সার নামক মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানীটির প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্র থেকে দেখা যায় এই সোমবারও থিয়েটারটির বাইরের হাঁটার পথটিতে রাশিয়ান ভাষায় “শিশু” শব্দটি লেখা ছিল।
হামলাটিতে কতজন মানুষ বেঁচে গিয়েছেন সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি বিরল টেলিফোন আলাপের সূচি নির্ধারিত করেছেন। তিন সপ্তাহ ধরে চলমান রাশিয়ার আক্রমণটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের আবেদনের মাঝে, এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, “চীনের, রাশিয়ার পক্ষ অবলম্বন এবং সেটির সম্ভাব্য তাৎপর্য ও পরিণতি নিয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগগুলোর বিষয়টি আমরা পরিষ্কারভাবেই প্রকাশ করেছি”।
তিনি বলেন, শুক্রবারের ফোনালাপটি “প্রেসিডেন্ট শি এর অবস্থান মূল্যায়ন করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য একটি সুযোগ। রাশিয়া যা করছে সে বিষয়ে চীনের, অবশ্যই, বাগাড়ম্বরপূর্ণ সমর্থন – বা পরিষ্কার বাগাড়ম্বর ও নিন্দা প্রকাশের অভাব, বা অন্তত নিন্দা প্রকাশের অভাব রয়েছে। এটি, চীন যা কিছু সমর্থন করে, অবশ্যই সে সবকিছুরই বিরুদ্ধে, যার মধ্যে জাতিসংঘ সনদের মূলনীতিগুলোও রয়েছে, যার একটি অংশ হল রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মূলনীতিটি। এবং তাই এই বাস্তবতাটি, যে রাশিয়া যা করছে সেটির প্রতি চীন নিন্দা প্রকাশ করেনি, অনেক কথাই জানান দিয়ে দেয়।”