এই মাসে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এর কার্গো বিমানে বহন করা সামগ্রীর মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট, এবং প্রাণঘাতী নয় এমন অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ছিল। সেসব সামগ্রী, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইউক্রেনের মানুষদের জন্য অনেক পশ্চিমা দেশের পাঠানো বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, এবং অন্যান্য অস্ত্র থেকে অনেকটাই ভিন্নরকম।
তবুও, ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর জাপানের সিদ্ধান্তটি টোকিও’র জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। অহিংসবাদে বিশ্বাসী তাদের সংবিধানটি দেশটিকে অনেক দশক ধরেই বিদেশী সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রেখেছে।
৯ মার্চে পাঠানো এই চালানটির বিষয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক টুইটারে জানায়, “আমাদের জন্য এই ধরণের মিশন এই প্রথম, তবে আমরা ইউক্রেনে [এই সরঞ্জামগুলো] দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করব”।
যদিও জাপানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর কোন পরিকল্পনা নেই, তবুও কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টির পশ্চিমা দেশগুলোর নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাটির, একেবারে সম্মুখ সারিতে রয়েছে জাপান।
জাপান রাশিয়ার ধনকুবেরদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর সম্পদ জব্দ করেছে, এবং এই সপ্তাহেই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদাটি বাতিল করেছে।
এছাড়াও, দেশটি ইউক্রেনে ১০ কোটি ডলারের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রেরণ করেছে এবং দেশ ছেড়ে পলায়নরত ইউক্রেনের শরণার্থীদেরকে গ্রহণের পথ সুগম করেছে। এটি দেশটির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশী শরণার্থী গ্রহণের বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।
এমন পদক্ষেপগুলো শুধুমাত্র দেশটির আরও সোচ্চার একটি পররাষ্ট্রনীতির দিকে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিকেই তুলে ধরে না, বরং এটাও প্রমাণ করে যে, পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সহমত হওয়ার বিষয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাটির ধারক মূলনীতিগুলোর রক্ষার বিষয়েও, টোকিও আরও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে।