অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ সুদানের শরনার্থীদের জন্য ১২০ কোটি ডলারের আবেদন জাতিসংঘ, সাহায্য সংস্থাগুলির


ডিব্বা বুসিন নামের একটি শিবিরে এভাবেই গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণ সুদানী শরণার্থীরা। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১।
ডিব্বা বুসিন নামের একটি শিবিরে এভাবেই গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণ সুদানী শরণার্থীরা। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১।

জেনেভা — জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর এবং ১০২টি মানবিক ও উন্নয়নমূলক সংস্থা, দক্ষিণ সুদানের ২৩ লাখ শরণার্থী এবং তাদের পাঁচটি দেশে আশ্রয় দেওয়া সম্প্রদায়গুলিকে সাহায্য করার জন্য ১২০ কোটি ডলার চাইছে।

গত প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় দক্ষিণ সুদানের ৪০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং শান্তি চুক্তি হলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তাই তারা হয় এখনও বাধ্য হয়ে দেশে রয়েছে কিংবা প্রতিবেশী দেশেগুলোতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে।

দক্ষিণ সুদানের এই সংকট, যদিও আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট তবুও ওই এলাকা সবচেয়ে কম অর্থায়ন করা মানবিক কার্যক্রমগুলির মধ্যে একটি। ওই এলাকা থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক ২৩ লাখ মানুষ কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সুদান এবং উগান্ডায় পালিয়ে গেছে।

তাদের উদারতার প্রশংসা করে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেছেন, এই দেশগুলিও দরিদ্র, এবং দক্ষিণ সুদানের মতো একই সমস্যায় ভুগছে। তাই অতিরিক্ত দরিদ্র শরণার্থীদের জনসাধারণের যত্ন নেওয়ার সামর্থ্য দেশগুলির নেই।

সল্টমার্শ বলেন, আয়োজক দেশগুলির খাদ্য, আশ্রয় এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা, যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য সহায়তা প্রয়োজন।

জাতিসংঘ বলছে, দক্ষিণ সুদানে নারী ও মেয়েরা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, ধর্ষণ এবং সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন সহিংসতার শিকার। সল্টমার্শ বলছেন, ইউএনএইচসিআর এবং অংশীদাররা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করতে কর্মসূচি বাড়াবে। তারা নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এবং সমাজ-মনস্তত্ত্ব বিষয়ে সহায়তা প্রদান করবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ এবং প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত প্রবল। তিনি বলেন, সংকটের ব্যাপকতা বিবেচনায় এটি যথার্থ। তবে তিনি এও বলেন, দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীদের দুর্দশার কথা ভুলে গেলে চলবে না।

XS
SM
MD
LG