অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের মারিউপোলে ইউরোপের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানাগুলোর একটি ক্ষতিগ্রস্ত


ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে অ্যাজভস্টাল লোহা ও ইস্পাত কারখানা। (ফাইল ছবি- এপি)
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে অ্যাজভস্টাল লোহা ও ইস্পাত কারখানা। (ফাইল ছবি- এপি)

ইউক্রেনের মারিউপোল বন্দরনগরীতে রাশিয়ার বাহিনীর অবরোধের মাঝে অ্যাজভস্টাল নামের ইউরোপের বৃহত্তম লোহা ও ইস্পাত কারখানাগুলোর একটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে, কর্মকর্তারা রবিবার জানান।

ইউক্রেনের অভিশংসক, লেসিয়া ভ্যাসিলেঙ্কো টুইটারে লিখেন, “ইউরোপের বৃহত্তম ধাতুশিল্প কারখানাগুলোর একটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। পরিবেশ বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে।”

ভ্যাসিলেঙ্কো একটি শিল্প এলাকায় বিস্ফোরণের ভিডিও প্রকাশ করেন। সেটিতে ভবনগুলো থেকে ধূসর ও কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।

সেরহিই তারুতা নামের তার একজন সহকর্মী ফেসবুকে লিখেন যে, রাশিয়ার বাহিনী “কারখানাটিকে কার্যত ধ্বংস করে ফেলেছে”।

অ্যাজভস্টালের মহাপরিচালক, এনভার স্কিটিশভিলি, ক্ষতির ব্যাপকতা নির্দিষ্ট করে না বলে টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে লিখেন, “আমরা শহরটিতে ফিরে যাব, প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় তৈরি করব এবং (সেটিকে) পুনরুজ্জীবিত করব”।

তিনি বলেন যে, যখন ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণটি আরম্ভ হয় তখন কারখানাটি, সেখানে হামলা করা হলে যাতে পরিবেশের ক্ষতি কম হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।

তিনি লিখেন, “কোক ওভেন ব্যাটারিগুলো বাসিন্দাদের জীবনের প্রতি আর কোন ঝুঁকি বহন করে না”। তিনি আরও লিখেন, “আমরা ব্লাস্ট ফার্নেসগুলোকেও সঠিকভাবে বন্ধ করেছি”।

মেটইনভেস্ট গ্রুপের একটি অংশ হল অ্যাজভস্টাল। গ্রুপটি ইউক্রেনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, রিনাত আখমেতভ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন।

যুদ্ধের পূর্বে মস্কোপন্থী হিসেবে বিবেচিত হলেও, যুদ্ধটি শুরুর পর থেকে আখমেতভ রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে “ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ” সংঘটনের অভিযোগ করেছেন।

XS
SM
MD
LG