একটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে খোলাখুলি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং সহিংসতার আহ্বান সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের আচরণ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে।
এপি’র সাথে বিশেষভাবে শেয়ার করা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, অধিকার গোষ্ঠী গ্লোবাল উইটনেস ফেসবুকে অনুমোদনের জন্য ৮টি পেইড বিজ্ঞাপন জমা দিয়েছে যার প্রতিটিতেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। ফেসবুক ৮টি বিজ্ঞাপনই প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে।
সংস্থাটি বিজ্ঞাপনগুলো পোস্ট করার আগে বা অর্থ প্রদান করার আগে সরিয়ে নিয়েছিল কিন্তু আরও ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ফেসবুকের শিথিল নিয়ন্ত্রণের কারণে তারা এখনো ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং ফেসবুক প্লাটফর্মে সহিংসতার আহ্বান সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়।
২০১৭ সালে একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার পর সেনাবাহিনী পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নির্মূল অভিযান চালায়। ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ,হত্যা ও হাজার হাজার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তাদের জেলে বন্দি করে জোরপূর্বক দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সেনাদখলের নিন্দা জানিয়ে বলে, এর ফলে মিয়ানমারে ফিরে যেতে তারা আরও ভয় পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক আরও ভালো করার প্রতিশ্রুতি এবং গণহত্যায় এ ধরণের বিজ্ঞাপনের ভূমিকাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দিলেও এগুলো ক্রমাগত প্রদর্শিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার আহ্বান জানিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যে ভরা এই বিজ্ঞাপনগুলো যেন ফেসবুকের সাইটে না থাকে- এমন সহজতম পদক্ষেপ নিতে ফেসবুক এখনো ব্যর্থ ।