অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভূমিকম্পের পরে বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে জাপান 


ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ সঙ্কটে জাপান, ১৭ই মার্চ, ২০২২/ছবি/ইসেই কোতো/রয়টার্স
ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ সঙ্কটে জাপান, ১৭ই মার্চ, ২০২২/ছবি/ইসেই কোতো/রয়টার্স

গত সপ্তাহে যে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূকম্পন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জাপানে প্রচন্ড ধ্বংসসাধন বা কোনো ধ্বংসাত্মক সুনামি না ঘটালেও, দেশটির চলমান ভঙ্গুর বিদ্যুৎ সরবরাহকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী কোইচি হাগিউডা বলেছেন, ভূকম্পনের কারণে ৬টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং আরো কয়েকটি কেন্দ্র কয়েক সপ্তাহ অচল থাকতে পারে।

রয়টার বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে সরকার বিদ্যুৎ বাঁচানোর কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, যেমন নিওন সাইন বন্ধ রাখা, বাতি ও থার্মোস্টেট কমিয়ে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, টোকিও এলাকায় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত হতে পারে ।

এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাক আউট হয়নি তবে, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক (METI) অন্তত বুধবার অব্দি জনগণকে জ্বালানি-শক্তি কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়াও তারা সম্ভাব্য ব্ল্যাক আউট সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামির পর থেকে জাপানের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নড়েবড়ে এবং সুনামি টেপকো'র ফুকুশিমা ডাইইচি প্রকল্পটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল, যা পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর সবচাইতে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।

ফুকুশিমা ডাইইচি প্রকল্পটির সমস্যার কারণে পরবর্তীতে দেশটির অন্যান্য পরমাণু প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

সর্বশেষ এই বিদ্যুৎ সংকোচনের পর অনেকেই এখন পুরোনো পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করার আবেদন জানাচ্ছেন।

[এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ রয়টার্স থেকে নেয়া]

XS
SM
MD
LG