কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ দূত হিসাবে এই সপ্তাহে মিয়ানমার সফরে কিছু সামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন বলে যদিও দাবি করেছেন, বিশ্লেষকরা বলছেন বাস্তবে কোন লাভ হয়নি।
বিশ্লেষকরা দেশটির সবকটি দলের সঙ্গে তার সাক্ষাত না করতে পারার কারণ হিসেবে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংঘাত এবং মানবিক সহায়তা বিতরণের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যে ব্যর্থ হয়েছেন তার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন যে এই কারণেই আসিয়ানের বিশেষ দূতের প্রথম সফরখর্ব হয়েছে। এই দু’টি বিষয়ই হচ্ছে সর্বসম্মত ভাবে ঐ সংকট সমাধানে আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐকমত্যের মূল নীতি ।
আসিয়ানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদ সদস্যদের চেয়ারপার্সন চার্লিস সান্তিয়াগো বলেন "এই সফরকে আপনারা সময়ের অপচয় হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন কারণ সুনির্দিষ্ট কোনও কিছুই অর্জিত হয়নি।"
কম্বোডিয়া ২০২২ সালের জন্য আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর মিয়ানমারের জেনারেল মিন অং হলাইংয়ের শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং শান্তি আলোচনা শুরু মাধ্যমে মিয়ানমারকে বাণিজ্য ব্লকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কম্বোডিয়া তার আঞ্চলিক রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষে সংঘাতপূর্ণ-বিধ্বস্ত মিয়ানমারকে স্থান দেওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে।