যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইউক্রেনে আক্রমণ পরিচালনা করতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম যেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়া ব্যবহার করছে, সেগুলোর কোন কোনটির অকার্যকরতার হার কোন কোন দিন ৬০% পর্যন্তও পৌঁছে যাচ্ছে। এমন গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এই তথ্য প্রদান করেছেন।
এমন তথ্য এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে, যে কেন এক মাস আগে আক্রমণটি আরম্ভ করলেও, রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে অকার্যকর করার মত অনেকের মতেই খুবই প্রাথমিক লক্ষ্যগুলোও অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে; যদিও ইউক্রেনের অপেক্ষাকৃত ছোট সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার বাহিনীকে আপাতদৃষ্টিতে শক্তিশালী মনে হয়।
তথ্যটির সংবেদনশীলতার কারণে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ঐ কর্মকর্তারা তথ্যগুলো প্রদান করেন। তবে, মূল্যায়নটির সমর্থনে তারা কোন প্রমাণ দেননি এবং রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থতার কারণ কি, সেই বিষয়টিও নির্দিষ্ট করে বলেননি।
এই সংখ্যাগুলো রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
মন্তব্য দেয়ার অনুরোধে ক্রেমলিন এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া দেয়নি।
অকার্যকরতার এই উচ্চ হারটি উৎক্ষেপণের ব্যর্থতা থেকে শুরু করে আঘাত হানার সময়ে বিস্ফোরিত হতে ব্যর্থ হওয়া পর্যন্ত যে কোন কারণেই হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন কর্মকর্তা বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের হিসেব মতে রাশিয়ার অকার্যকরতার হার বিভিন্ন দিন বিভিন্ন রকম হয়, ক্ষেপণাস্ত্রের ধরণের উপর নির্ভর করে, এবং কখনও কখনও ৫০% এরও অধিক হয়। তাদের মধ্যে দুইজন বলেন, সেটি কখনও কখনও ৬০% পর্যন্তও পৌঁছে যায়।
তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য থেকে দেখা যায় যে, আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অকার্যকরতার হার দিন ভেদে ২০% থেকে ৬০% হয়ে থাকে।
আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের অকার্যকরতার গ্রহণযোগ্য হার কত হওয়া উচিৎ, তা নির্ধারণ করা রয়টার্সের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে, রয়টার্সের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুইজন বিশেষজ্ঞ বলেন যে, ২০% এবং এর অধিক যে কোন অকার্যকরতার হারই উচ্চহার হিসেবে বিবেচিত।