অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মারিউপোলে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত থিয়েটারটিতে হামলায় ৩০০ জন নিহত


বিমানহামলার পর মারিউপোলের নাট্য থিয়েটারটির স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত একটি দৃশ্য, মারিউপোল, ইউক্রেন, ১৯ মার্চ ২০২২। ছবিটি ম্যাক্সার টেকনোলজিস এর সৌজন্যে।
বিমানহামলার পর মারিউপোলের নাট্য থিয়েটারটির স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত একটি দৃশ্য, মারিউপোল, ইউক্রেন, ১৯ মার্চ ২০২২। ছবিটি ম্যাক্সার টেকনোলজিস এর সৌজন্যে।

ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেন যে, বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি থিয়েটারে ১৬ মার্চ রাশিয়া যেই বিমানহামলা চালিয়েছিল, তাতে ৩০০ জন মানুষ নিহত হন ।

মারিউপোল নগর পরিষদের টেলিগ্রামের অনলাইন সামাজিক মাধ্যম চ্যানেলটিতে, শুক্রবার প্রকাশিত একটি পোস্টে বলা হয়, “প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যে মারিউপোলের নাট্য থিয়েটারটিতে রাশিয়ার বিমানহামলার পর সেখানে প্রায় ৩০০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন”। তবে এই গণনাটিই চূড়ান্ত হতাহতের সংখ্যা কিনা সেই বিষয়টি পরিষ্কার নয়। শহরটিতে আক্রমণ চলতে থাকায় উদ্ধার প্রচেষ্টাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এটিও পরিষ্কার নয় যে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত জরুরি পরিষেবার কর্মীরা তাদের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেছেন কিনা অথবা প্রত্যক্ষদর্শীরা কিভাবে এই নিহতের সংখ্যাটি নিরূপণ করেছেন।

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এই বন্দরনগরীর কর্মকর্তারা ইতোপূর্বে জানিয়েছিলেন যে, ভবনটির ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় ১৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছিলেন যে, ভবনটিতে ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলাটি চালানোর সময়ে ভবনটির বাইরে রুশ ভাষায় বিশাল অক্ষরে “শিশু” শব্দটি লেখা ছিল, যাতে করে লেখাটি আকাশ থেকে দেখা যায়।

নগর পরিষদের টেলিগ্রামের পোস্টটিতে আরও বলা হয়, “শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আমরা এটা বিশ্বাস করতে চাই যে সকলেই পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই অমানবিক নিষ্ঠুরতার জন্য কোন ব্যাখ্যা নেই এবং কখনও থাকতেও পারে না”। একই সাথে সেটিতে বলা হয়, “আমাদের ঘরে যারা ধ্বংস, বেদনা ও ভোগান্তি নিয়ে এসেছে তাদের কখনও ক্ষমা করা হবে না”।

XS
SM
MD
LG