অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নেটো ও ইইউ এর হস্তক্ষেপের দাবি নিয়ে ব্রাসেলসের রাজপথে ইউক্রেনের বিক্ষোভকারীরা


বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করছে। ছবি-এপি

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণটির বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া আলোচনা করতে যখন নেটো, জি-সেভেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছিলেন, সেই একই সময়ে বাইরে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়েছিলেন এই দাবি নিয়ে যে পশ্চিমা দেশগুলো যেন মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার দেশের সমর্থনে একদিনব্যাপী বিক্ষোভ আয়োজনের আহ্বান করেছিলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণটি আরম্ভ হবার ঠিক এক মাস পূর্ণ হয় সেদিন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতরের বাইরে কয়েক শত বিক্ষোভকারী ইউক্রেনের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। ভেতরে তখন ইইউ নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক করছিলেন।

ইউক্রেনের সাবেক এক আইন প্রণেতা এবং দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিশনের প্রধান, হ্যানা হপকো, বিক্ষোভটি আয়োজনে সহযোগিতা করেন।

হপকো বলেন, “আমাদের কয়েকটি মুখ্য দাবি রয়েছে, প্রথমত, ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সামরিক সহায়তা প্রদান করা, কারণ ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধটিতে জয়লাভ করছে। কিন্তু আমাদের প্রাণঘাতী অস্ত্রের সরবরাহ প্রয়োজন। … দ্বিতীয়ত, আমাদের আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন, যার মধ্যে তেল ও গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি যে নেটো, ইইউ এবং বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ, জি-সেভেন – তারা অবশেষে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, এবং ইউক্রেনকে জয়লাভে সহায়তা করার সংকল্প আমরা দেখতে পাব। আমরা একটি প্রশ্ন রাখছি: নৈতিকতা কি নেটোর সীমান্তে গিয়ে শেষ হয়ে যায়? মানবতা কি নেটোর সীমান্তে ‍গিয়ে শেষ হয়ে যায়?”

তবে, তাদের দাবিগুলো মোটামুটি অপূর্ণই থেকে যায়। যদিও নেটো অস্ত্র সরবরাহ ‍জোরদার করতে, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করতে এবং নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে সম্মত হয়, তবুও তারা উড্ডয়ন নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণা করতে বা জঙ্গিবিমান সরবরাহ করতে অসম্মতি জানায় এই বলে যে, এমন কর্মকাণ্ড রাশিয়ার সাথে নেটোকে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে।

XS
SM
MD
LG