অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীন মারাত্মক কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে


চীনের সাংহাইয়ে কোভিড মহামারির মধ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) পরিহিত চিকিৎসা কর্মীরা লকডাউনের মধ্যে একটি ব্যারিকেডের সামনে কাজ করছেন। ২৫ মার্চ ২০২২, ছবি - রয়টার্স
চীনের সাংহাইয়ে কোভিড মহামারির মধ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) পরিহিত চিকিৎসা কর্মীরা লকডাউনের মধ্যে একটি ব্যারিকেডের সামনে কাজ করছেন। ২৫ মার্চ ২০২২, ছবি - রয়টার্স

চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শুক্রবার (২৫ মার্চ) বলেছেন যে, দেশটি সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে ৫৬ হাজারেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

কর্মকর্তারা বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, এই সংক্রমণগুলোর অর্ধেকেরও বেশি উত্তর-পূর্ব জিলিন প্রদেশে রেকর্ড করা হয়েছে এবং এর মধ্যে উপসর্গবিহীন রোগীও রয়েছে।

বেইজিংয়ে একই সংবাদ সম্মেলনে, চায়না সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, উ জুনিউ বলেছেন, কর্মকর্তারা দাবি করেছেন তথাকথিত “জিরো-কোভিড” কৌশলটি “কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে উত্তম এবং সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ কৌশল”।

কৌশলটিতে লকডাউন এবং গণপরীক্ষার পাশাপাশি বাড়িতে বা কেন্দ্রীয় সরকারি স্থাপনায় রোগীদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা বর্তমান গণপরীক্ষা কৌশলের পরিপূরক হিসেবে দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করেছেন।

কৌশলটি দেশের বৃহত্তম শহর সাংহাইতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। যা এই সপ্তাহে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণযোগ্য ওমিক্রনের সর্বোচ্চ সংক্রমণ রেকর্ড করেছে।

এদিকে, কাছাকাছি দক্ষিণ কোরিয়াও রেকর্ডসংখ্যক সংক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে প্রায় নয় মিলিয়ন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে।

কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি (কেডিসিএ) শুক্রবার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জনের নতুন শনাক্তের কথা উল্লেখ করে। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৭। যা বুধবারের ৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৮১ থেকে কম এবং মহামারীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দৈনিক শনাক্তের হার। আগের বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিল ৬ লাখ ২১ হাজার ২০৫ জনের। যা দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

কর্মকর্তারা বলছেন যে, শুক্রবারের নতুন সংক্রমণসহ দক্ষিণ কোরিয়ার মোট সনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ২৩২–এ উন্নীত হয়েছে।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক, ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃক তৈরি একটি অ্যান্টিবডি ওষুধ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কোভিড প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য তারা অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।

ইএমএ এক বিবৃতিতে পরামর্শ দিয়েছে যে, নতুন ওষুধটি Evusheld নামে বাজারজাত করা হয়েছে। ভবিষ্যতের সংক্রমণ রোধ করতে, যারা কোভিড ১৯-এ সংক্রমিত হননি তাদের দেওয়া হবে। এজেন্সি এক গবেষণা থেকে তথ্য উদ্ধৃত করেছে যে, ওষুধটি সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭৭ শতাংশ কার্যকরি। তবে তারা এটাও বলেছে যে, এটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কম কার্যকরি হতে পারে।

[এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, রয়টার্স ও এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস সরবরাহ করেছে]

XS
SM
MD
LG