পাকিস্তানের আইনসভার নিম্নকক্ষ বা জাতীয় সংসদে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন অবস্থায়, কোণঠাসা হয়ে পড়া দেশটির সাবেক ক্রিকেট তারকা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার দেশটিকে আরও দূরে সরিয়ে ফেলেছেন এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি মৌখিক আক্রমণের মাধ্যমে দেশটির ভঙ্গুর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আরও নাজুক করে তুলেছেন।
তার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমন্বয়ে গঠিত বিরোধীদের দাবি যে একটি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে খানের সরকারকে উৎখাতের জন্য তাদের হাতে যথেষ্ট সংখ্যক ভোট রয়েছে।
এমনকি তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল, তেহরিক-ই-ইনসাফ-এরও এক ডজনের বেশি নির্বাচিত সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। সেটির কারণ হিসেবে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ও যথাযথভাবে সরকার পরিচালনায় ব্যর্থতার কথা বলছেন তারা। ক্ষমতাসীন শরিক দলগুলোর কেউ কেউ বিরোধীদের পক্ষে যোগ দিয়েছেন। অপরদিকে বাকিরা, তাদের ভাষ্যমতে, খানের প্রতিহিংসার রাজনীতিকে দুষছেন।
ইসলামাবাদ ভিত্তিক একটি থিংক ট্যাঙ্ক, পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অফ লেজিসলেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সির সভাপতি, আহমেদ বিলাল মেহবুব বলেন, “খান বিরোধীদের প্রতি খুবই কঠোর ছিলেন। তার কথা এবং কর্মকান্ড, দুটোই খুবই কঠোর ছিল। তিনি বলছিলেন যে বিরোধীদের কারাগারে বন্দী করা হবে, তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হবে, এবং এমনও ইঙ্গিত রয়েছে যে সেটি করতে এনএবি (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো)-কেও ব্যবহার করা হয়েছে”।
মেহবুব আরও বলেন, “বিরোধীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল, এবং এটা তাদের টিকে থাকার প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছিল”।
অনাস্থা ভোটটি শুক্রবার (২৫ মার্চ) এর জন্য নির্ধারিত ছিল। দিনটি পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের ৩০তম বার্ষিকী ছিল। ১৯৯২ সালের ঐ বিশ্বকাপটিতে, খান পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অবশেষে, অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়াটি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।