অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর কোরিয়া “মন্সটার মিসাইল” পরীক্ষা করেনি, বলছে দক্ষিণ কোরিয়া


উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) থেকে প্রকাশিত এই ছবিতে উত্তর কোরিয়ার অজ্ঞাত স্থান থেকে নতুন ধরনের একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হোয়াসোংফো-১৭ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখা যাচ্ছে। ২৪ মার্চ, ২০২২
উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) থেকে প্রকাশিত এই ছবিতে উত্তর কোরিয়ার অজ্ঞাত স্থান থেকে নতুন ধরনের একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হোয়াসোংফো-১৭ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখা যাচ্ছে। ২৪ মার্চ, ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, উত্তর কোরিয়ার দাবি করা নতুন ধরনের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গত সপ্তাহে উৎক্ষেপণ করা হয়নি, যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহৃত হয়েছে তা ২০১৭ সালে পরীক্ষা করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানায়, ২৪ মার্চের পরীক্ষায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত হোয়াসং-১৫ আইবিএম-এর পরিবর্তিত সংস্করণ ; বৃহত্তর হোয়াসং-১৭ নয়।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গত সপ্তাহে কিম জং উনের একটি নাটকীয় ফুটেজ প্রকাশ করে যাতে তিনি নিজে উৎক্ষেপণের নির্দেশ দিচ্ছেন। দাবি করা হচ্ছে এটাই সবশেষ উৎক্ষেপণ।

অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ভিডিওটির নানান অসঙ্গতি চিহ্নিত করে বলেছেন, এ ফুটেজে ১৬ মার্চের হোয়াসং-১৭ পরীক্ষার ভিডিওর কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হচ্ছে। উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরেই হোয়াসং-১৭ বিস্ফোরিত হয়েছিল।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়া মিথ্যা বলার প্রয়োজন কেন অনুভব করবে তা স্পষ্ট নয়।

সিউলের এওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্ক ওয়ান গন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, কিম যদি উৎক্ষেপণের বিষয়ে এতটাই নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলতেন তাহলে তিনি সম্ভবত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সাথে ছবি তোলার জন্য পোজ দিতেন না। তিনি আরও বলেন, “এ ব্যাপারে সম্ভবত এক হাজারেরও বেশি লোকের সহযোগিতা প্রয়োজন হতো…আমি মনে করি এটি কার্যত অসম্ভব।“

যেভাবেই হোক, উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ কোরীয় উপদ্বীপে উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এবং এটা হয়তো আরও দীর্ঘায়িত হবে।

XS
SM
MD
LG