বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য দুটি পৃথক নির্দেশনার পরিবর্তে একটি আইনের আওতায় এনে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল, ২০২২ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি উত্থাপন করেন এবং তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
দেশের বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এখন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০০৯–এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
বিল অনুসারে, একটি বেসরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে এবং প্রস্তাবিত আইন অনুসারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:১০ হতে হবে।
মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই কোটি টাকা রিজার্ভ ফান্ড হিসেবে জমা দিতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো মেডিকেল কলেজে একাডেমিক কাজের জন্য এক লাখ বর্গফুট এবং হাসপাতালের জন্য আরও এক লাখ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। একটি ডেন্টাল কলেজের জন্য হাসপাতালের জায়গা হতে হবে ৫০ হাজার বর্গফুট।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোকে যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হতে হবে।
বিল অনুযায়ী মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক ফি নির্ধারণ করবে সরকার।
প্রস্তাবিত আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ২৬টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে।