বুধবার ভোরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন সাংবাদিক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ইন্সপেক্টর-জেনারেল বিজয় কুমার সাংবাদিকদের বলেন, দুই জঙ্গি লুকিয়ে আছে এমন খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে শ্রীনগরের একটি পুরানো কোয়ার্টারে আশেপাশে পুলিশ ও আধাসামরিক সৈন্যরা স্থানটি ঘেরাও করার পর গুলি বিনিময় শুরু হয়।
কুমার বলেন, বুধবার ভোরে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই দুই জঙ্গি নিহত হয়। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে একজন কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সংবাদ পোর্টালের সাংবাদিক ছিলেন এবং গত বছর তিনি জঙ্গি দলে যোগ দেন। পুলিশ তাকে রইস আহমেদ ভাট বলে শনাক্ত করেছে।
কুমার বলেন, ভাট বেশ কয়েকটি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।
পুলিশ একটি প্রেস আইডি কার্ডের ছবি টুইট করেছে। তারা বলছে, ওই আইডি কার্ডটি ভাটের শরীরে পাওয়া গেছে এবং ঘটনাটি "মিডিয়ার অপব্যবহারের একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ নির্দেশ করে।"
কুমার সাংবাদিকদের প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলেন এবং সতর্ক করে দেন, "অন্যথায়, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।"
তবে, পুলিশের দাবির কোনো সত্যতা নিরপেক্ষ কোন সুত্র থেকে নিশ্চিত করা যায়নি।
ঘটনাটির শুরু ২০১৯ সাল থেকে। তখন থেকে ভারত এই অঞ্চলের আধা-স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করার পর, সাংবাদিকরা নিরলস চাপের সম্মুখীন হয়৷ সন্ত্রাস বিরোধী কঠোর আইনের অধীনে ডজন ডজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তদন্ত করা হয়েছে৷ স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো প্রতিশোধের ভয়ে, চাপের মুখে অনেকাংশে নিস্তেজ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের বিভক্ত অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।