বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার তিন দেশ সফর শেষ করেছেন। এ সফরে তিনি আলজেরিয়ার কাছে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক সীমিত করার ও প্রতিবেশী মরক্কোর সাথে সম্পর্ক উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অতীতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ টেবোউন রাশিয়াকে “ ভ্রাতৃত্বপ্রতিম দেশ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং পশ্চিম সাহারার বিতর্কিত অঞ্চলের দাবিতে মরক্কোর বিরুদ্ধে চাপ অব্যাহত রেখেছেন। সেখানে আলজেরিয়া স্বতন্ত্র যোদ্ধাদের সমর্থন দেয়।
টেবোউনের সাথে সাক্ষাতের পর ব্লিংকেন বলেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সকল দেশকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করতে হবে।
১৯৬২ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে রাশিয়ার সাথে আলজেরিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়ার অস্ত্রের প্রধান ক্রেতাদের মধ্যে আলজেরিয়া অন্যতম।
দেশটি পশ্চিম সাহারার প্রাক্তন স্প্যানিশ উপনিবেশের মর্যাদা নিয়ে মরক্কোর সাথে একটি তিক্ত বিরোধের মধ্যে রয়েছে। আধা স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা দিয়ে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য রাবাতের একটি পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আলজিয়ার্স।
ব্লিংকেন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা মরক্কোর পরিকল্পনাকে “গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য” বলে প্রশংসা করেছেন তবে সমাধানের পথ হিসেবে এটিকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করেননি।
রাবাতে মরক্কোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করার একদিন পর ব্লিংকেন আলজেরিয়া যান। সেখানে তিনি ইসরায়েলের সাথে মরক্কোর সম্পর্কের উন্নতির প্রশংসা করেন।