অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনীয়দের আস্থা বাড়ছে, রাশিয়াকে কোন ছাড় দিতে রাজি নয় তারা


ইউক্রেনিয়ার সৈন্যরা সাঁজোয়া গাড়িতে করে কিয়েভের অদূরে রাশিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া এলাকায়, মার্চ ৩১ ২০২২
ইউক্রেনিয়ার সৈন্যরা সাঁজোয়া গাড়িতে করে কিয়েভের অদূরে রাশিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া এলাকায়, মার্চ ৩১ ২০২২

ইউলিয়া কোন মতেই রাজি নন যে ইউক্রেন তার দেশের কোন অঞ্চলই রাশিয়াকে দিয়ে দেবে, এমনকী তাতে যুদ্ধ বন্ধ হলেও না।

কিয়েভের অদূরে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের মফস্বল শহর ল্যভিভে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বাস করেন বুচা থেকে পালিয়ে আসা ২৫ বছর বয়সী এই তরুণী। এই সংঘাতে তার জীবন থমকে গেছে।

তিনি বুচা ছেড়ে পালিয়ে আসেন কারণ “সেখানে বোমাবর্ষণ এবং সেই রকম সব ঘটনা ঘটছিল আর বেশির ভাগ সময়ই ছিল আতঙ্কের”। তার মা জার্মানিতে চলে যান কিন্তু ইউলিয়া ইউক্রেনেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন ,তিনি বলেন , “ কারণ এটি আমার নিজের দেশ”। তিনি চান না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি অঞ্চল দিয়ে দেয়াসহ রাশিয়াকে কোন রকম ছাড় দিন, এমনকী যুদ্ধ বন্ধের জন্যও।

ইউক্রেনিয়ার অনেক অধিবাসীই মনে করেন কিয়েভের পূবে এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া ফিরে যাওয়ার পর যুদ্ধ তার নিজের গতিতেই চলছে। তারা রাশিয়ার এই ঘোষণা শুনে অত্যন্ত পুলকিত যে কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলের আরও কিছু শহরে রাশিয়ার সামরিক তত্পরতা কমিয়ে ফেলা হবে এবং এখন শুধু মনোযোগ দেয়া হবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ডনবাস অঞ্চলকে “মুক্ত” করার উপর।

ইউক্রেনীয়রা এই বিষয়টিকে এমন একটি অবশ্যম্ভাবী বিবৃতি হিসেবে দেখছে যে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বীরত্বই রাশিয়াকে সরে আসতে বাধ্য করেছে এবং ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে রাশিয়ার অগ্রযাত্রার প্রচেষ্টা থেমে গেছে।

রাশিয়ার এই আক্রমণ হোঁচট খা্ওয়ায় ইউক্রেনের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে যদিও ক্ষেপনাস্ত্রের হামলা এখনও অব্যাহতই আছে এবং এই যুদ্ধ কি ভাবে বন্ধ করা যায় সে নিয়ে আলোচনাও চলছে।

এ সপ্তাহে তুরস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কুটনীতিকরা বৈঠক করেছেন। ইউক্রেন বলেছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে সে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে প্রস্তুত এবং রাশিয়ার আশংকা দূর করতে সে নেটোতে যোগ দেবে না। ঐ প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের অবস্থান নিয়ে ১৫ বছরের জন্য পরামর্শের সময় নির্ধারণ । রাশিয়া জোর করে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া দখল করে এবং ২০১৪ সালে অবধৈ ভাবে অধিগ্রহণ করে।

বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ডনেটস্ক এবং লুহান্সকের অবস্থান নিয়ে রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন এবং জেলেন্সকি পরে তাদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করবেন বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে । ইউক্রেনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী যে কোন শান্তি চুক্তিকে গণভোটে পাশ করাতে হবে।

XS
SM
MD
LG