অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হত্যাকাণ্ডের পর শান্তিরক্ষীদের উত্তর মালিতে পাঠিয়েছে জাতিসংঘ


মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের(MINUSMA) পুলিশ সদস্যরা টিমবাক্টুর গ্রেট মসজিদের সামনে টহল দিচ্ছে। ৮ ডিসেম্বর,২০২১।
মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের(MINUSMA) পুলিশ সদস্যরা টিমবাক্টুর গ্রেট মসজিদের সামনে টহল দিচ্ছে। ৮ ডিসেম্বর,২০২১।

মালিতে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচার হত্যার খবর পাওয়ার পর, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার সীমান্তে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন, করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন (MINUSMA) দেশটির উত্তরে ত্রিদেশীয় সীমান্তে, তাদের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করেছে।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হামলা ইতিমধ্যেই দুর্দশাগ্রস্ত বেসামরিক জনগণের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে”। এর ফলে ব্যাপক সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বেশকিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মেনাকা এবং গাও এলাকায় ইসলামিক স্টেট সমর্থক চরমপন্থী গোষ্ঠীর হাতে শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

মালির বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান হারে নিরাপত্তা সংকট বাড়ছে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে এ এলাকার গ্রামগুলোতে অন্তত ৫০ জনকে হত্যা করা হয়।

এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মালির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিপীড়নের অভিযোগ সম্পর্কে তারা সচেতন এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী, সন্ত্রাসীদের থেকে নিজেদের দূরে রাখতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছে। বলেছে, এতে পণ-জনিত ক্ষতির ঝুঁকি কমবে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভয়েস অব আমেরিকা মালি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। তবে, ঐ মুখপাত্র সাড়া দেননি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মার্চ মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মালির সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র ইসলামী গোষ্ঠি, উভয়েই ডিসেম্বর থেকে ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।

XS
SM
MD
LG