অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মিম
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মিম

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কুড়িল ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মিমের নিহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মাইশার মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে মিছিল নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটক পর্যন্ত যান তারা। তবে তাদের মূল সড়কে যেতে দেয়নি পুলিশ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা মাইশা হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবি এবং মাইশার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি করেন। এই দুই দাবির পাশাপাশি সড়ক নিরাপদ করতে আরও কয়েকটি দাবির কথা তারা তুলে ধরেন।

এসব দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্য দাবি পূরণ না হলে রবিবার বেলা ২টার পর আবার আন্দোলন শুরু করার কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন কাউছার হাবীব নামের একজন শিক্ষার্থী।

নিহত মাইশা মমতাজ মিম (২১) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী। খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারে একটি কাভার্ড ভ্যান মাইশাকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, সকালে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে খিলক্ষেত ফ্লাইওভার থেকে গুরুতর আহত মাইশাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার পাশ থেকে একটি স্কুটি পাওয়া গেছে। পরে আহত মাইশাকে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

মিমের চাচা হাবিবুর রহমান চুন্নু জানান, সকালে ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বাসা থেকে বের হন।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি শাব্বির আহমেদ জানান, সিসিটিভি ফুটেজের পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, একটি কাভার্ড ভ্যান মিমকে ধাক্কা দেয়।

এদিকে শনিবার পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান দুর্ঘটনায় দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, “শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে গাড়ির চালক সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও তার সঙ্গে থাকা মশিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইফুলের হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিল। কিন্তু তিনি চালাচ্ছিলেন ভারী গাড়ি। মশিউর হলেন গাড়িতে থাকা মালামালের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি”।

XS
SM
MD
LG