“বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বিস্তৃত ও বহুমুখী সহযোগিতা চাইবে”। এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মোমেন জানান, আমরা এ বিষয়টা উত্থাপন করব (র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা)। তারা (র্যাব সদস্যরা) অত্যন্ত দক্ষ ও কার্যকর; সর্বোপরি তারা দুর্নীতিমুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় এক যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এ বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু বিষয়ে নতুন করে সম্পৃক্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, “সহযোগিতার অনেক নতুন ক্ষেত্র রয়েছে; যেমন-প্রযুক্তি হস্তান্তর, ওষুধ, সুনীল অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন।… আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে ইচ্ছুক”। দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ।
অন্য বিষয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুও উঠে আসবে বলে জানান তিনি।