যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায়।এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ইউক্রেনে মানবিক সাহায্যের চাহিদা বাড়ছে ক্রমাগত। আর এ চাহিদা ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র ইউক্রেনে।
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, ইউক্রেনে খাদ্য সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে, খাবার জোগাড় করাও কষ্টকর হয়ে পড়ছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ করার পর, নিরাপত্তা ঝুঁকি সত্ত্বেও, ডব্লিউএফপি দেশটির ১০ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরেছে।
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের লেভিভ শহরে অবস্থানরত ডব্লিউএফপি’র মুখপাত্র টমসন ফিরি বলেন, তপ্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে, দ্রুত অবস্থান বদল করছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে, দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ণয় করা একটি কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তিনি বলেন, “আমি এইমাত্র লেভিভের একটি ত্রানপত্র বিতরণ কেন্দ্র থেকে ফিরেছি।দেখেছি মানুষ কতটা মানসিক চাপের মধ্যে আছে।” তিনি আরও বলেন, “ প্রতিদিন মানুষ ছুটছে প্রাণ ধারনের নানা বিকল্পের সন্ধানে। এমন পরিস্থিতি তাদের নিঃশ্বেষ করে দিচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিকল্পনা হচ্ছে যথাসম্ভব বেশি মানুষকে সহায়তা করা।”
ফিরি জানান, ডব্লিউএফপি’র পরিকল্পনা হচ্ছে ইউক্রেনের ভেতরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা করা। এছাড়াও, প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়া আরও ৩লাখ মানুষকে অভিন্ন সহায়তা-কর্মসূচির আওতায় আনা।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ইউক্রেনের সংঘাত, বিশ্বের খাদ্য সরবরাহের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, বিশ্বের গম বাণিজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ অংশিদার রাশিয়া ও ইউক্রেন । অন্তত ৫০টি দেশ গমের জন্য ঐ দুই দেশের ওপর নির্ভরশীল।
এফএও বলছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম রফতানী হ্রাস পাওয়ায়, বিশ্বে ক্ষুধা বৃদ্ধি পাবে। খাদ্যের মূল্য বাড়বে নতুন মাত্রায়।