অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে কঠিন মানবিক সংকটে দক্ষিণ সুদান


দক্ষিণ সুদানের গুমুরুকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) খাবার বিতরণের একটি লাইনে অপেক্ষা করছেন নারীরা। ১০ জুন ২০২১। ফাইল ছবি
দক্ষিণ সুদানের গুমুরুকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) খাবার বিতরণের একটি লাইনে অপেক্ষা করছেন নারীরা। ১০ জুন ২০২১। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন যে, ২০১১ সালের জুলাইয়ে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ সুদান সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় পরে এখনো দেশটি সংঘাতে জর্জরিত। একাধিক প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয়ে পর্যুদস্ত এবং ব্যপক খাদ্য সংকটের সম্মুখীন।

দক্ষিণ সুদানের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী সারা বেসোলো নিয়ান্তি বলেছেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য সংগ্রামরত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্য ও হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে পারে না। এ অবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক।

তিনি বলেন, “মানবিক প্রয়োজনের জন্য এই বছর আমাদের ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। এ ছাড়া উন্নয়ন ও শান্তি বিনির্মাণ, সামাজিক সংহতি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যও তহবিল প্রয়োজন”।

“মানবিক সহায়তা দক্ষিণ সুদানের জনগণের সমস্যার সমাধান করবে না... যারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তাদের সুরক্ষা এবং দেখভাল করার পাশাপাশি যেখানে সম্ভব সেখানেই এখনই সক্ষমতা তৈরি করা শুরু করতে হবে”।

নিয়ান্তি বলেন, যারা নিজেরাই নিজেদের খাবার জোগাড় করতে পারে তাদের ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অবশ্য তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন এমন প্রায় ৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষকে খাদ্য সরবরাহের প্রাথমিক প্রয়োজন স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন যে, লাখ লাখ লোক নিরাপদ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন বা চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে রয়েছেন, তাদের সহায়তা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ধর্ষণসহ সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং লিঙ্গভিত্তিক যৌন সহিংসতার শিকার দুর্বল ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়ান্তি বলেন, যদিও জরুরি প্রয়োজনগুলোর অগ্রাধিকার রয়েছে, দাতাদের দক্ষিণ সুদানের তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতেও বিনিয়োগ করা উচিত। দেশটি এই ধরনের সহায়তা থেকে উপকৃত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মানবিক সমন্বয়কারী নিয়ান্তি বলেন, দক্ষিণ সুদানে উন্নয়নে বিনিয়োগ করা এবং জনগণের স্বাবলম্বী হওয়ার সক্ষমতা বাড়ালে আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর দেশটির নির্ভরতা কমে যাবে। তিনি বলেন, মানুষকে নিজের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করার সুবিধা অনস্বীকার্য।

XS
SM
MD
LG