অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

৫৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, মুমিনুল বললেন “অপরাধ”


ডারবান টেস্টঃ বাংলাদেশ বনাম দঃ আফ্রিকা
ডারবান টেস্টঃ বাংলাদেশ বনাম দঃ আফ্রিকা

সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গিয়েছিল রবিবার (৩ এপ্রিল) শেষ বিকেলেই। ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্য ২৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ দিন অর্থাৎ রবিবার শেষ বিকেলেই ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল মুমিনুল হকের দল। তারপরেও আশা ছিল দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা কিছু একটা করবেন, অন্তত লড়াইটা করবেন। কিন্তু সেটাও হয়নি। মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২২০ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

রবিবার ফিরে গিয়েছিলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম আর মাহমুদুল হাসান। সঙ্গে মুমিনুল হক। নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজেরা দলকে জেতাতে না পারেন, অন্তত প্রতিরোধ গড়ার সামর্থ্য তো অবশ্যই রাখেন। সেটি মাথায় রেখেই রবিবার দিন শেষে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। কিন্তু কিছুই হয়নি। ডারবান টেস্টে চারদিন লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গী বাজে হার।

বাংলাদেশের পক্ষে সোমবার (৪ এপ্রিল) সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে নাজমুল হোসেনের ব্যাট থেকে। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। মুশফিকুর রানের খাতাই খুলতে পারেননি, লিটন ফিরেছেন ২ রানে, ইয়াসির করেছেন ৫। রানের খাতা খুলতে পারেননি মিরাজও। তাসকিন আহমেদ ১৪ রান না করলে লজ্জার পরিমাণ আরও বড় হতো।

দুই স্পিনার ব্যবহার করেই বাজিমাত দক্ষিণ আফ্রিকার। সাইমন হারমার আর কেশব মহারাজ। মহারাজ ১০ ওভার বোলিং করে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। হারমার ২১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

১৯৫০ সালের পর এই প্রথম কোনো টেস্টের কোনো ইনিংসে প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেটই নিলেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। ডারবান টেস্টে স্পিনাররাই রাজত্ব করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ওপর। পতন হওয়া ২০ বাংলাদেশি উইকেটের ১৪টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। কেশব মহারাজের ৭/৩২, বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনারের সেরা বোলিং বিশ্লেষণ।

আশা জাগিয়েও কেন এমন দুঃস্বপ্নের সমাপ্তি। অধিনায়ক মুমিনুল হক বাংলাদেশের এমন ব্যাটিংকে “অপরাধ”ই বলছেন। “আমার মনে হয় বিদেশের মাটিতে স্পিনারদের উইকেট দেওয়াটা ‘ক্রাইম’। স্পিনারদের বিপক্ষে রান করার সুযোগ বেশি থাকে। আমার মনে হয় এটি বিরাট একটা ব্যাটিং ব্যর্থতা”, মুমিনুল বলেন।

মুমিনুল আক্ষেপ করে বলেন, “স্পিনারদের বিপক্ষে আউট হয়েছি। কিন্তু যেগুলোতে আউট হয়েছি, সবই তো সোজা বল ছিল। আমরা সবাই সোজা বলে আউট হয়েছি, আসলে আজ আমরা ব্যাটিংটা খুব বাজে করেছি”।

দলের সমন্বয় নিয়ে মুমিনুল বলেন, “আমাদের সম্পদ কী পরিমাণ, সেটি বুঝতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে বল ঘুরতে পারে। আমার কাছে যে কম্বিনেশন ছিল, সে অনুযায়ী আমার হাতে যে অপশন ছিল, সেটাই ব্যবহার করেছি। আমাদের একজন ব্যাটসম্যান হয়তো কমানো লাগত অথবা একজন বোলার। উইকেট দেখে সারপ্রাইজ হয়েছি, দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে যে এভাবে স্পিনাররা উইকেট পাবেন, সেটি ভাবিনি”।

XS
SM
MD
LG