পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সোমবার বিরোধীদলগুলোর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি জরুরি শুনানি আরম্ভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবটি বাতিল করাকে দেশটির সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে দেশটির বিরোধীদলগুলো।
৩৪২ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের (পাকিস্তানের আইনসভার নিম্নকক্ষ) একটি বিশেষ অধিবেশনের জের ধরে শুনানিটি আরম্ভ হয়। সংসদে খানের বিরুদ্ধে দুঃশাসনের অভিযোগ এনে, তাকে উৎখাতের জন্য বিরোধীদের উত্থাপিত এক প্রস্তাবে রবিবার ভোটদানের কথা ছিল আইনপ্রণেতাদের।
তবে, ভারপ্রাপ্ত স্পিকার কাসিম শাহ সুরি প্রস্তাবটি সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে অধিবেশনের শুরুতেই সেটিকে অপ্রত্যাশিতভাবে বাতিল করে দেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশনটি তিনি দ্রুত মুলতবি করে দেন।
সুরি বলেন, “কোন বিদেশী শক্তিরই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার অধিকার নেই। তাই আমি অনাস্থা প্রস্তাবটিকে জাতীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বলে রায় দিচ্ছি, এবং আমি … অনাস্থা প্রস্তাবটি বাতিল করে দিচ্ছি।”
স্পিকারের রায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করা খানের অভিযোগটির প্রতি নির্দেশ করে। খান অভিযোগ করেছিলেন যে রাশিয়া সফর করার কারণে এবং ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের প্রতি নিন্দা জানানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের সমর্থন না করার কারণে, খানকে শাস্তি দিতে তার সরকারকে উৎখাত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনাস্থা প্রস্তাবটির ষড়যন্ত্র করেছে।
তবে, ওয়াশিংটন বারবারই এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছে যে, এমন অভিযোগের মধ্যে “কোন সত্যতা” নেই। রবিবারের ঘটনাবলি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ভিওএ-কে বলেন, “পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনকে আমরা সম্মান ও সমর্থন করি।”