অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফ্রিকান ইউনিয়নের দূত বহিষ্কারঃ সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে মতবিরোধ


ফাইল ফটো:সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের প্রধান ফ্রান্সিসকো মাদেইরা ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়ন সদর দপ্তরে এএফপি-র সাথে কথা বলার সময়। ২৬ জানিয়ারি,২০১৮।
ফাইল ফটো:সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের প্রধান ফ্রান্সিসকো মাদেইরা ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়ন সদর দপ্তরে এএফপি-র সাথে কথা বলার সময়। ২৬ জানিয়ারি,২০১৮।

ফাঁস হওয়া অডিও ফাইলে সরকার প্রধানের সমালোচনা শুনে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) একজন দূতকে বহিষ্কার করার আদেশ দিয়েছেন সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ হোসেন রোবেল । এর ফলে দেশটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আবার মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদ এই বহিষ্কারকে একটি বেআইনি পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

ফাঁস হওয়া যে অডিও ফাইলের কারণে প্রধানমন্ত্রী রোবেল এই সিদ্ধান্ত নেন সেখানে এইউ দূত মাদেইরাকে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদের পুনঃনির্বাচন ঠেকাতে বিরোধীদের সাথে জোট করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শোনা যায়। প্রেসিডেন্ট ফার্মাজো নামেও পরিচিত।

প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের সমালোচকরা বলছেন, মাদেইরাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক ও নিয়মিত পদ্ধতির পরিপন্থি।

সোমালিয়ার চলমান নির্বাচনকে লক্ষ্য করে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাবের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের প্রেক্ষিতে মাদেইরাকে অপসারণ এবং প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার মতবিরোধ দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আল শাবাবের হামলায় মোগাদিশু ও সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলের শহর বেলেতওয়েনেতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

বহিষ্কার করা হলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদেইরা হবেন তৃতীয় জ্যেষ্ঠ বিদেশী কূটনীতিক যাকে সোমালিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে। গত নভেম্বরে মাদেইরার সহযোগী সাইমন মুলোঙ্গোকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের দূত নিকোলাস হেইসমকে তার চাকরির মাত্র তিনমাসের মাথায় বহিষ্কার করা হয়।

XS
SM
MD
LG