অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউটিউব রাশিয়ার পার্লামেন্টের চ্যানেল বন্ধ করায় রুশ কর্মকর্তাদের ক্ষোভ প্রকাশ


রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমার একটি অধিবেশন চলাকালে বক্তৃতা দিচ্ছেন। মস্কো, রাশিয়া, ৭ এপ্রিল ২০২২ (স্পুটনিক/গিগ্রোরি সাইসভ/রয়টার্সের পুলের মাধ্যমে)। শনিবার ইউটিউব ঘোষণা করেছে যে তারা দুমা টিভি বন্ধ করছে।
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমার একটি অধিবেশন চলাকালে বক্তৃতা দিচ্ছেন। মস্কো, রাশিয়া, ৭ এপ্রিল ২০২২ (স্পুটনিক/গিগ্রোরি সাইসভ/রয়টার্সের পুলের মাধ্যমে)। শনিবার ইউটিউব ঘোষণা করেছে যে তারা দুমা টিভি বন্ধ করছে।

ইউটিউব রাশিয়ার পার্লামেন্টের (সংসদ) নিম্নকক্ষ থেকে সম্প্রচারিত দুমা টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, এর জবাবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং পরিষেবাটি রাশিয়ায় বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে পারে।

শনিবার (৯ এপ্রিল) ইউটিউবের এক বার্তায় বলা হয়, দুমা চ্যানেলটি “ইউটিউবের পরিষেবার শর্তাবলি লঙ্ঘনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে”।

অ্যালফ্যাবেট ইনকের মালিকানাধীন ইউটিউব, রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক রোসকোমনাডজোরের চাপের মুখে রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জবাবে কর্মকর্তারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান।

“দেখে মনে হচ্ছে, ইউটিউব তার নিজস্ব হুকুম জারি করেছে। আপনাদের বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) সংরক্ষণ করুন, রাশিয়ান প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্থানান্তর করুন, এবং দ্রুত করুন”, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম মেসেজিং সার্ভিসে বলেছেন।

কমিউনিকেশন ওয়াচডগ জানিয়েছে যে, তারা দুমা চ্যানেলে প্রবেশের জন্য অবিলম্বে তা চালু করতে গুগলকে অনুরোধ করেছে।

“আমেরিকান আইটি কোম্পানি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মাধ্যমে শুরু করা তথ্য যুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট রুশ-বিরোধী অবস্থান মেনে চলে”, রোসকোমনাডজোর বলেছে।

গুগল মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

দুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোডিন বলেছেন, ইউটিউবের পদক্ষেপটি ওয়াশিংটনের অধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘনের আরও প্রমাণ।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে রাশিয়া ইতিমধ্যে টুইটার ও মেটা প্ল্যাটফর্মের ফ্ল্যাগশিপ ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করেছে।

রাশিয়া এর আগে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এখন রুশ কর্মকর্তারাই ব্যাপকভাবে টেলিগ্রাম ব্যবহার করছেন।

রাশিয়ার কিছু গণমাধ্যম সে সময় এই পদক্ষেপটিকে আত্মসমর্পণ হিসেবে অভিহিত করে। কিন্তু রোসকোমনাডজোর বলে, তারা টেলিগ্রামের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কারণ অ্যাপটির রাশিয়ান প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় সহযোগিতা করার জন্য রাজি হন।

XS
SM
MD
LG