গর্ভপাত ক্লিনিকে ঢুকে নারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি রোধে একটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে স্পেন।
সরকারি গেজেট হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর, আগামী সপ্তাহে আইনটি কার্যকর হতে পারে। বুধবার স্পেনের সেনেটে এই আইনটি অনুমোদন পেয়েছে। এর আগে দেশটির পার্লামেন্টে আইনটি পাস হয়েছিলো।
স্পেনের দণ্ডবিধি পরিবর্তনের জন্য সেনেট আইনটি অনুমোদন করে। এর পক্ষে ভোট পড়ে ১৫৪টি, আর বিপক্ষে-১০৫টি। উল্লেখ্য যে, স্পেনের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গর্ভধারণের ১৪ সপ্তাহের মধ্যে বিনা খরচে গর্ভপাত করানো যায়।
আইনটি পরিবর্তনের অর্থ হল, কেউ গর্ভপাত ক্লিনিকে গিয়ে কোন মহিলাকে হয়রানি করলে, সে ফৌজদারি অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে। আর এ অপরাধে এক বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে।
স্পেনেরে সমাজতান্ত্রিক ধারার মধ্য-বাম সরকার, গত বছর আইনটি প্রস্তাব করেছিলো। গত সেপ্টেম্বরে আইন প্রণেতারা এটি অনুমোদন করে। সেনেটেও, পালামেন্টের মতোই আইনটির পরিবর্তনের বিপক্ষে ছিলো মধ্য-ডান রাজনৈতিক গ্রুপগুলো।
ডানপন্থী গ্রুপগুলোর যুক্তি ছিলো, এই পরিবর্তন সাংবিধানিক বাকস্বাধীনতার অধিকার ক্ষুন্ন করবে। সমাবেশের অধিকার উপেক্ষিত হবে।
গর্ভপাত বিরোধী দলগুলো বলেছে, ক্লিনিকের বাইরে তাদের সমাবেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে, গর্ভপাতের জন্যে আসা নারীদের জন্য প্রার্থনা করা এবং তাদের সহায়তা করা।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাক্রেডিটেড ক্লিনিকস ফর প্রেগন্যান্সি টার্মিনেশন জানিয়েছে, প্রতি বছর ক্লিনিকের বাইরে অন্তত একশ’টি হয়রানির ঘটনা ঘটে।