বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের মারধরের গুজবের জেরে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজ্ঞাত ১৫০ জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার (১০ এপ্রিল) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, গুজবের জেরে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনার তিন দিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় জিডি করেছেন।
জিডিতে প্রধান শিক্ষক লেখেন, “৭ এপ্রিল স্কুলে একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে স্কুলে হামলা করা হয়। স্কুলের আশপাশের গ্রামের অনেক লোক হামলা চালিয়ে স্কুলের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেছে”।
ওসি আজম উদ্দিন আরও জানান, দাউল বারবাকপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেখানে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য ঘটনার পর থেকে নজরদারি চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৬ এপ্রিল) হিজাব পরায় ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তা “হিজাব” বিতর্ক নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জের ধরে পরদিন স্থানীয় অনেক মানুষ ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং বিদ্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করেন। কিন্তু পরে জানা যায়, আসলে নির্ধারিত পোশাক (স্কুল ড্রেস) পরে না আসার কারণে দুই শিক্ষক কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেছিলেন।