ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো এবং কট্টর ডানপন্থী নেতা মারিন ল্য পেন ২৪ এপ্রিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফিরতি পর্বে মুখোমুখি হবেন। এর আগে রবিবার (১০ এপ্রিল) নির্বাচনের প্রথম পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম পর্বটিতে ৯০% ভোট গণনা হওয়া পর্যন্ত, ম্যাঁক্রো ২৭% ভোট পেয়েছেন এবং ল্য পেন পেয়েছেন ২৪%।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে নির্বাচনটিতে ভোটার উপস্থিতি কম হবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল যে, ফিরতি পর্বটিতে ম্যাঁক্রো এবং ল্য পেন এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে, শেষমেষ ভোটার উপস্থিতি অনুমানের তুলনায় বেশ ভালই ছিল। মোটামুটি ৭৫% ভোটার এই প্রথম দফা ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ম্যাঁক্রো এক সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় স্বস্তির সাথে এগিয়ে থাকলেও, নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে সেই দূরত্বটি মিলিয়ে যেতে থাকে। নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে দেখা যায় শেষ মুহুর্তে ল্য পেন এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। এর আগে তিনি তার প্রচারণাতে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে মানুষজনের মধ্যে বিরাজমান উদ্বেগটির উপর জোর দিয়েছিলেন।
নিজের অভিবাসন বিরোধী, ইউরো-সংশয়বাদী ভাবমূর্তিটি হ্রাস করতেও কাজ করেন ল্য পেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে সেই কৌশলটি কাজে লেগেছে। বিশেষ করে এই কারণে যে এরিক জেমার নামের আরেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে ল্য পেন এর তুলনায় আরও কট্টর ডানপন্থী হিসেবে ধারণা করা হয়।
অন্যদিকে, ম্যাঁক্রো নিজের নির্বাচনী প্রচারণাটিও দেরীতে শুরু করেন। তিনি দাবি করেন যে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন - বিশেষ করে ইউক্রেনে যুদ্ধটির কারণে। নির্বাচনের প্রথম পর্বটির আগে তিনি মাত্র একটি বৃহৎ নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করেন। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে কোন সামনা-সামনি বিতর্কেও অংশগ্রহণ করেননি তিনি।
পাঁচ বছর আগেও নির্বাচনের ফিরতি পর্বে ল্য পেন এর মুখোমুখি হয়েছিলেন ম্যাঁক্রো। সেবার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় পর্বটিতে জয়লাভ করেছিলেন ম্যাঁক্রো। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে এবারের ফলাফলটি মোটেও নিশ্চিত নয়।