অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মহামারি পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়নের আহ্বান সিপিডির


বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনাসহ বাস্তবসম্মত একটি বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।

সিপিডি ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের (এলডিসি) জন্য বাজেট বাস্তবায়ন কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং ঝুঁকির কারণ ও সেগুলো পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনার ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ করার বিষয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি তাদের বাজেট সুপারিশ প্রকাশ করে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বাজেট প্রস্তাব পাঠ করেন এবং সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সুপারিশ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

সিপিডি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই সামগ্রিক কর-রাজস্ব খাতের সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আমদানি শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। তাই এলডিসি-পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা প্রয়োজন।

সিপিডি সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারি ব্যয়ের তথ্যাদিতে সাধারণ জনগণের অভিগম্যতার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ব্যয়ে আরও স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে।

সিপিডি বলেছে, রপ্তানি প্রণোদনা খাতকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার আলোকে সংস্কার করতে হবে। যাতে প্রকৃত যোগ্য খাত শুধুমাত্র প্রণোদনা পেতে পারে।

২০৩০ সালের মধ্যে একটি সুস্থ ও উন্নত দেশ গড়তে শিক্ষা, কৃষি, শিশু ও নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাজেট ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি।

বাজেটের সুপারিশগুলো মহামারি পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার এবং খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির বৈশ্বিক প্রভাবের জন্য পর্যায়ক্রমে সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়েও দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, মহামারিজনিত কারণে প্রান্তিক জনগণ খুব বেশি ভুগছে। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। স্থির আয়কারী জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর যদি আবার খাদ্যের দাম বেশি হয়ে যায় তবে তারা পুষ্টি সমস্যার সম্মুখীন হবে। বাজেটে খাদ্য মূল্যে ভর্তুকি যেমন দরকার, তেমনি বিভিন্ন প্রান্তিক মানুষের জন্য প্রণোদনা নির্ধারণ করা দরকার।

সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হারের প্রস্তাব করেছে। কারণ এটি অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং শিল্প উৎপাদন খরচের মূল্যবৃদ্ধি উভয়কেই প্রভাবিত করেছে।

মহামারি পুনরুদ্ধারের সরকারি কৌশলের প্রশংসা করে সিপিডি বলেছে যে, সরকারি নীতি সঠিক; কিন্তু বাস্তবায়ন জটিল এবং কখনো কখনো বিতরণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

XS
SM
MD
LG