দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। নগরীর ডিসি হিল, সিআরবির শিরীষতলা, শিল্পকলা একাডেমি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণের আয়োজন চলছে। এ ছাড়াও নগরীর আরও কয়েক স্থানে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে চলছে বর্ষবরণের আয়োজন। এসব আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আয়োজকসহ সবাই উন্মুখ হয়ে আছেন পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল সকালের।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলাতেও পয়লা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। এ ছাড়াও মোট ১১টি নির্দেশনা মেনে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিএমপির নির্দেশনাসমূহ হলো—সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুপুর ২টার মধ্যে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগতদের মুখোশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ডিসি হিল ও সিআরবি এলাকায় দর্শকদের নির্ধারিত প্রবেশ ও বাহির পথ ব্যবহার করতে হবে। বিরক্তির উদ্রেক ও শব্দ দূষণকারী ভুভুজেলা, বাঁশি ইত্যাদি বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বাজি-পটকা বহন ও ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, উৎসবমুখরতা যাতে জনউপদ্রবে পরিণত না হয় সে জন্য দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে। বড় ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক বহন করা যাবে না। অনুষ্ঠান উদযাপনে আগত নারী, শিশু বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করতে হবে। যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। উৎসব প্রাঙ্গণে কোনো খাবারের দোকান স্থাপন করা যাবে না। উৎসবমুখর শান্তিপূর্ণ ও নারী শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে সব ধরনের নাগরিক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।