প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের মহাকাশ অভিযানের গতি এবং পরিধিতে “নাটকীয়” বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করছেন। ২০১৯ সাল থেকে চীন ও রাশিয়া তাদের কক্ষপথে মহাকাশ সম্পদ ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
মঙ্গলবার ডি আই এ’র ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স অফিসার ফর স্পেস এন্ড কাউন্টার স্পেস ডক্টর জন এফ হুথ পেন্টাগনে এজেন্সির অবমুক্ত প্রতিবেদন “মহাকাশ নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জসমূহ-২০২২” প্রকাশের সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, “ আমাদের প্রাথমিক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া এবং চীন মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের প্রভাব হ্রাস করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
হুথ আরও বলেন, চীন এবং রাশিয়া মহাকাশকে “আধুনিক যুদ্ধ জয়ের জন্য প্রয়োজনীয়” বলে মনে করে । উভয় দেশই মহাকাশ-ভিত্তিক ব্যবস্থার ওপর তাদের ধারণা মতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরতার সুযোগ নেয়ার জন্য একটি উপায় বের করার চেষ্টা করছে।
চীন ও রাশিয়ার মধ্যে কে বেশি প্রভাবশালী প্রতিদ্বন্দ্বী-ভয়েস অফ আমেরিকার এমন প্রশ্নের জবাবে হুথ বলেন তিনি “ কারো ওপর থেকেই দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন না।“
ডিআই’র মহাকাশ নিরাপত্তা প্রতিবেদনের এই সদ্য প্রকাশিত সংস্করণে চীন ও রাশিয়ার চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহ অনুসন্ধানের ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।
রাইডার বলেন, চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের অন্বেষণে চীন ও রাশিয়ার আগ্রহকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগ হিসেবে দেখা উচিত।
প্রতিবেদনটিতে সতর্ক করা হয়েছে যে, চীন এবং রাশিয়া ছাড়াও অপেক্ষাকৃত কম হুমকি যারা অর্থাৎ ইরান ও উত্তর কোরিয়াও জিপিএস-এর মতো মহাকাশ-ভিত্তিক যোগাযোগ এবং নেভিগেশন মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি মনোনিবেশ করবে।