দক্ষিণ কোরিয়ার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যদি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন, তবে দেশটির নাগরিকদের বয়স কমপক্ষে এক বছর কমে যাবে।
সাবেক প্রধান প্রসিকিউটর ইউন সুক-ইওল আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তিনি বয়স গণনার জন্য দেশটির একক পদ্ধতি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কোরীয় পদ্ধতিতে জন্মের দিনেই সমস্ত শিশুর বয়স এক বছর ধরা হয় এবং প্রতি জানুয়ারির ১ তারিখে, সেই বয়সের সাথে আরও এক বছর করে যুক্ত হয়। সে হিসেবে ৩১ ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া শিশুরা পরের দিনই ২ বছর বয়সের শিশুতে পরিণত হয়।
বয়স গণনার প্রথাগত এই পদ্ধতি, একসময় পূর্ব এশিয়া জুড়ে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিলো। অন্যান্য দেশ অনেক আগেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বয়স গণনার পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দক্ষিণ কোরীয়রা, বয়স গণনা-পদ্ধতি সহজ করার কথা বলছে। গত জানুয়ারিতে পরিচালিত হ্যানকুক রিসার্চের জরিপ বলছে, ৭১ শতাংশ দক্ষিণ কোরীয় বয়স গণনার প্রথাগত পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
অতি সম্প্রতি, করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য-কর্মকর্তারা অসঙ্গতিপূর্ণ পদ্ধতিতে বয়স গণনার ফলে অনেক দক্ষিণ কোরীয়রা হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে, টিকা দেয়ার বয়সে না পৌঁছার পরও, অনেককে টিকা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে হয়েছে।
ইউনের প্রস্তাব অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বয়সই সকল আইনি ও সামাজিক কার্যক্রমের একক মান হয়ে উঠবে।তবে জটিলতার কারণে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে পর্যায়ক্রমে।
অতীতে এ ধরনের উদ্যোগ সফল হয়নি। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন,ইউনের উদ্যোগ সফল হতে পারে। কারণ এই প্রস্তাবের প্রতি দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সমর্থন রয়েছে।