যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার জানান যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ইউক্রেনে পাঠানোর কথা বিবেচনা করছেন। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সফরের মাধ্যমে অবরুদ্ধ দেশটির প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের অঙ্গীকার আরও জোরালো হবে।
তিনি একজন কর্মকর্তাকে প্রেরণ করবেন নাকি, এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, “আমরা এখন সেই সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করছি।”
বাইডেন ঠাট্টা করে একজন সাংবাদিককে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কি যেতে চান?”
জবাবে ঐ সাংবাদিক বলেন, “আপনি চান?”
প্রেসিডেন্ট উত্তর দেন, “হ্যাঁ”।
এর আগে এই সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি জানান যে, বাইডেনের নিজে ইউক্রেন সফরের কোন পরিকল্পনা নেই। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সাম্প্রতিককালে ইউক্রেনের রাজধানীতে একটি ঝটিকা সফর করেন। অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারাও একই ধরণের সফর করেছেন।
এদিকে, মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বাকযুদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
যেসব ইউরোপীয় দেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানী কেনা বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে, সেসব দেশকে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন যে, “এমন নীতি গ্রহণকারীদের জন্য [সেটা] বেশ কষ্টদায়ক হবে।”
পুতিন বলেন যে, মূলত যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য যেসব দেশ থেকে ইউরোপে সরবরাহ পাঠানো যাবে, সেগুলো ভোক্তাদের খরচ অনেক গুণ বাড়িয়ে তুলবে। একই সাথে তিনি এও বলেন যে, সেগুলো মানুষের জীবনযাত্রার মানে প্রভাব ফেলবে এবং ইউরোপীয় অর্থনীতির প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হ্রাস করবে।
একই সাথে রাশিয়া এও বলে যে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন যদি মস্কো ও পশ্চিমা দেশগুলোর মাঝে বজায় রাখা নিজেদের দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতা পরিত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো সামরিক জোটে যোগ দেয়, তাহলে রাশিয়া নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র, উত্তর ইউরোপের ঐ দেশ দুইটির আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে।