ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রকে ছাত্রলীগের জগন্নাথ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মন ও তার অনুসারীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম রাকিবুল হাসান সজিব। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের বাসিন্দা।
রাকিবুল হাসান সজীব জানান, “বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আমি হলে ফিরছিলাম। উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলে থাকা অতনু বর্মণ ও তার অনুসারীরা আমার মোটরসাইকেলের সামনে আসে। এ সময় আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়”।
তিনি আরও বলেন, “তর্কের এক পর্যায়ে অতনু বর্মনের ২০ থেকে ২৫ জন অনুসারী আমাকে মারধর শুরু করে। যদিও আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে পরিচয় দিই”।
সজিব জানান, পরে তার দুই বন্ধু এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অতনু বর্মন জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, “তবে আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম চত্বরের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ ভুল দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন আমি আরোহীকে রাস্তার ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণ জিজ্ঞেস করি। সে তার ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ায় তখনই বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। আমরা তাকে মারধর করিনি বা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি”।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ইউএনবিকে বলেন, “ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে যথাযথ তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য”।
এ দিকে জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা জানান, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ওই ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া তার হলের বাইরে হওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে বলেও জানান তিনি।