ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিউপোল বন্দর শহরের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের জন্য রবিবার অপেক্ষা করছে রাশিয়া।
০৩০০ ঘটিকা ইউটিসি’র বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরও রয়টার্সের মতে, “অ্যাজভ সাগরের তীরের অ্যাজভস্টাল স্টিলওয়ার্কস-এ অবস্থানকারী ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের [রাশিয়ার] আদেশটি পালনের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।”
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার প্রাত্যহিক সান্ধ্যকালীন বক্তব্যে শনিবার বলেন, “মারিউপোলের পরিস্থিতি যে কোন সময়ের মতই গুরুতর। একদম অমানবিক … মারিউপোলের সবাইকে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।”
রাশিয়া মারিউপোলের দখল নিতে সক্ষম হলে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এটিই ইউক্রেনের প্রথম কোন গুরুত্বপূর্ণ শহর হবে যা রাশিয়া দখল করতে পারল।
জেলেন্সকি জানান যে, মারিউপোলের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ব্রিটেন ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীদের সাথে আলাপ করেছেন। একই সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করা এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও সহায়তার বিষয়েও আলাপ হয়।
একই সময়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরম্ভ করেছে রাশিয়া। অন্যান্য শহরে গোলাবর্ষণও করছে তারা।
জেলেন্সকি তার বক্তব্যে আরও বলেন যে, "যদিও রাশিয়ার সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করতে সহায়তা করতে অনেকেরই অভিপ্রায়ের কথা তারা শুনেছিলেন, তবু সেগুলোর কোনটিই এখনও বাস্তবায়িত হয়নি"।