অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে জানুয়ারিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা—এমএফও এবং সানেমের গবেষণা


 শ্রমিকরা গার্মেন্টসে কাজ করছেন (প্রতীকী ছবি)
শ্রমিকরা গার্মেন্টসে কাজ করছেন (প্রতীকী ছবি)

করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য চলতি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস ছিল ব্যস্ততম মাস। জানুয়ারিতে ২৭ কার্যদিবসে শ্রমিকরা কারখানায় গড়ে ২৯৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছেন, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

“গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়রিজ” প্রকল্পের অধীনে এপ্রিল ২০২০ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন নির্বাচিত গার্মেন্টস কর্মীদের ওপর এ জরিপ করা হয়।

জরিপে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান শিল্প এলাকার (চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার) বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত।

জরিপের উত্তরদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ নারী। যা গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমশক্তির বিন্যাসকে প্রতিনিধিত্ব করে। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদে, শ্রমিকরা জানুয়ারিতে গড়ে ২৬৮ ঘণ্টা কাজ করেছেন বলে জরিপে বলা হয়েছে।

নারী কর্মীরা জানুয়ারিতে গড়ে ২৬৭ ঘণ্টা কাজ করেছেন। অন্যদিকে পুরুষ শ্রমিকেরা এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদ দিয়ে গড়ে ২৭০ ঘণ্টা কাজ করেছেন।

ফেব্রুয়ারির ২৪ কার্যদিবসে শ্রমিকেরা গড়ে ২৫৯ ঘণ্টা কারখানায় ব্যয় করেছেন। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদ দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রমিকেরা গড়ে ২৩৫ ঘণ্টা কাজ করেছেন।

তাদের মধ্যে নারী শ্রমিকেরা গড়ে ২৩৪ ঘণ্টা এবং পুরুষ শ্রমিকেরা গড়ে ২৩৫ ঘণ্টা কাজ করেছেন।

জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—উভয় মাসে, জরিপকৃত শ্রমিকেরা আইনত অনুমোদিত ১০ ঘণ্টার (আট ঘণ্টা নিয়মিত এবং দুই ঘণ্টা ওভারটাইম) বেশি কাজ করেছেন।

ডিসেম্বরে কাজের জন্য নারী শ্রমিকেরা জানুয়ারিতে গড়ে ১২ হাজার টাকা এবং পুরুষ শ্রমিকেরা গড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেয়েছেন।

জানুয়ারিতে কাজের জন্য নারী শ্রমিকেরা ফেব্রুয়ারিতে গড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন পেয়েছেন। আর পুরুষ শ্রমিকেরা পেয়েছেন ১৩ হাজার টাকা।

ফেব্রুয়ারিতে ৫৪ শতাংশ কর্মী মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ, নগদ, রকেট, ইত্যাদি) মাধ্যমে এবং ৪৬ শতাংশ নগদ অর্থে বেতন পেয়েছেন।

প্রায় ২০ শতাংশ গার্মেন্টস কর্মী জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্য অসুস্থ ছিলেন। জানুয়ারিতে এই অসুস্থতার হার ছিল ২৬ শতাংশ।

XS
SM
MD
LG