চীনের সাংহাইতে মার্চ মাসে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া শুরু হওয়ার পর এই প্রথম শহরটি ওমিক্রনে কারো মৃত্যুর খবর জানাল। রবিবার মারা যাওয়া তিনজন বয়োঃবৃদ্ধ ব্যক্তির সকলেরই স্বাস্থ্যগত অন্যান্য সমস্যা ছিল এবং তারা কেউই টিকা নেননি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলমান মহামারিতে সাংহাইয়ের নিচু মৃত্যুহার নিয়ে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এপ্রিলের শুরু থেকেই সাংহাইয়ের ২ কোটি ৬০ লক্ষ বাসিন্দাকে নিজ বাসায় অবস্থান করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রন ধরণটির কারণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় এমন আদেশ করা হয়েছিল।
চীনের “শূন্য কোভিড” কৌশল সত্ত্বেও দেশটিতে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকে। চীনের মূল ভূখন্ড থেকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি নির্মূল করার উদ্দেশে এই কৌশল গ্রহণ করা হয়।
সাংহাইয়ের কোভিড প্রাদুর্ভাব, কোভিড-নেগেটিভ ও কোভিড-পজিটিভ বাসিন্দাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়।
সেখানকার এক বিদেশী বাসিন্দা তার পরীক্ষার ফল স্বাস্থ্য অ্যাপে আপলোড করতে সমস্যার সম্মুখীন হন। তিনি ভবনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে তার পরীক্ষার ফলটি শেয়ার না করা পর্যন্ত, তার ভবনের ব্যবস্থাপকরা তার পরিবারের খাদ্যের ডেলিভারি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি একটি গোপনীয়তার লঙ্ঘন।
কিছু ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষজন সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও তাদের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করতে পারেননি, যা কিনা সরকারী নির্দেশিকার লঙ্ঘন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায় যে, সাংহাইয়ের একটি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ৫০,০০০ খাট থাকলেও, গোসল করার জন্য কোন গরম পানির ব্যবস্থা নেই।
অপরদিকে, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার জানায় যে, রবিবারের ১,১৫০ জন কোভিড রোগী সনাক্তের সংখ্যা সোমবার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২,১৮৩ তে দাঁড়িয়েছে।