সোমবার জাতিসংঘ জানিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা তাদের শিশু সৈন্যদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে । দেশটির সাত বছরের গৃহযুদ্ধের সময় হাজার হাজার শিশু লড়াই করেছে।
সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের নিয়োগ বা ব্যবহার করা, শিশুদের হত্যা বা পঙ্গু করা বন্ধ করতে এবং স্কুল ও হাসপাতালে হামলা বন্ধ ও প্রতিরোধ করতে জাতিসংঘের বর্ণিত একটি “একশন প্ল্যান”-এ হুতিরা স্বাক্ষর করেছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেছেন, বিদ্রোহীরা তাদের র্যাঙ্কের শিশুদের শনাক্ত করার এবং ছয় মাসের মধ্যে তাদের মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে প্রায় ৩,৫০০ শিশুকে নিয়োগ ও মোতায়েন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে একজন ঊর্ধ্বতন হুতি সামরিক কর্মকর্তা ২০১৮ সালে এপিকে বলেছিলেন যে, গোষ্ঠীটি সেসময় ১৮ হাজার শিশু সৈন্যকে তাদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে । প্রাক্তন শিশু সৈন্যরা নিউজ কো-অপারেটিভকে বলেছিল যে, এমনকী ১০ বছরের ছেলেদেরও নিয়োগ করা হয়েছিল। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধে ১০,২০০-এরও বেশি শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে। এরমধ্যে কতজন যোদ্ধা ছিল তা স্পষ্ট নয়।
২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুতিরা সানা দখল করে দেশটির সরকারকে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করলে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ একটি সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৫ সালের প্রথমদিকে যুদ্ধে যুক্ত হয়। এই মাসের শুরুতে যুদ্ধরত পক্ষগুলো ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে দুই মাসের চুক্তিটি কার্যকর হয় এবং শান্তির জন্য গতিসঞ্চার করে।