অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা চীন সাগর প্রসঙ্গে আরও কঠোর পদক্ষেপের সমর্থক


ফাইল ফটোঃ ফিলিপাইনের বুলাকান প্রদেশে নির্বাচনী সমাবেশে প্রাক্তন সেনেটর ফার্ডিনান্ড "বংবং" মার্কোস জুনিয়র মাঝে থেকে বাঁয়ে এবং ডানে নির্বাচনী সঙ্গী দাভাও সিটি মেয়র সারা দুতার্তে পতাকা হাতে
ফাইল ফটোঃ ফিলিপাইনের বুলাকান প্রদেশে নির্বাচনী সমাবেশে প্রাক্তন সেনেটর ফার্ডিনান্ড "বংবং" মার্কোস জুনিয়র মাঝে থেকে বাঁয়ে এবং ডানে নির্বাচনী সঙ্গী দাভাও সিটি মেয়র সারা দুতার্তে পতাকা হাতে

আগামী মাসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীরা দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধে চীনের প্রতি তারা আরও কঠোর অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে ২০১৬ সালের একটি ট্রাইবুনালের রায় তারা কার্যকর করবেন যাতে সম্পদ সমৃদ্ধ জলসীমায় বেইজিংয়ের এক চেটিয়া দাবিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযানে সবচাইতে এগিয়ে রয়েছেন ফার্ডিনান্ড "বংবং" মার্কোস জুনিয়র। যিনি প্রয়াত স্বৈরশাসকের পুত্র ও চীনের প্রতি তার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, তিনি সম্ভবত প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের চীনের প্রতি সম্মতির নীতিই অব্যাহত রাখবেন।

এ মাসে টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রার্থীরা বলেন, ফিলিপাইনকে অবশ্যই ওয়েস্ট ফিলিপাইন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিকপন্থি সম্প্রসারণবাদকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাউথ চায়না সী বা দক্ষিণ চীন সাগরের স্থানীয় নাম হচ্ছে ওয়েস্ট ফিলিপাইন সাগর।

চীনের প্রতি তাদের অবস্থান দুতের্তের মানিয়ে চলার নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। বেইজিংয়ের কাছ থেকে কিছু উন্নয়ন সহায়তার বিনিময়ে ২০১৬ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের স্থায়ী সালিশীআদালতের দেওয়া মাইলফলক অর্জনটিকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া হয়।

চীন, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ান, সকলেই সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঐ বিশাল জলসীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সর্বসাম্প্রতিক জরিপে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মার্কোসের পরে দ্বিতীয়অবস্থানে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রোব্রেডো। তিনি বলেন, স্থগিত হয়ে যাওয়া আসিয়ান-চীন আচরণবিধিকে পুনরায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য ফিলিপাইনকে অবশ্যই আসিয়ান অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থাকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আসিয়ান-চীন আচরণবিধিকে মূলত দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা নিরসনের প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে একজন ম্যানিলার মেয়র ইস্কো মোরেনো। তিনি আসিয়ানের সমর্থনের অভাবের কারণে হতাশা প্রকাশ করেবলেছেন যে তিনি নির্বাচিত হলে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ম্যানিলার আইনি বিজয়কে স্বীকৃতি দিতে সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করার জন্য তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যাবেন।

এর আগের বিতর্ক এবং সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীরা কিছু শর্তের অধীনে চীন এবং অন্যান্য দেশের সাথে যৌথ তেল অনুসন্ধান পরিচালনা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রোব্রেডো বলেন, বেইজিং যদি দ্য হেগের রায়কে স্বীকৃতি দেয় তবেই তিনি এ বিষয়ে একমত হবেন। অন্যদিকে আরেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেনেটর পিং ল্যাকসন বলেন, ফিলিপাইনের সংবিধান অনুসারে নির্ধারিত ৬০/৪০ শতাংশ মুনাফা ভাগাভাগি করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে মার্কোসকে সবচেয়ে চীন-বান্ধব প্রার্থী হিসাবে দেখা হয়--- যিনি দুতের্তের "কৌশলগত সম্মতি" চালিয়ে যাবেন এবং ফিলিপাইনকে বেইজিংয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসবেন।

মার্কোস নির্বাচন কমিশন এবং স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম দ্বারা আয়োজিত বিতর্কে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাচ্ছেন তবে তিনি বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ চীন সাগর সম্পর্কে তার অবস্থান প্রচার করেছেন।

XS
SM
MD
LG