অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভিওএ’র সংবাদপ্রদানকারীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের আদালতে অভিযোগপত্র গঠন


সাংবাদিক সিথু অং মাইন্ট এবং হেত হেত খাইন ২০২১ সালের আগস্টে মিয়ানমারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ সিথু অং মাইন্টকে ২২ এপ্রিল, ২০২২ ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করে৷
সাংবাদিক সিথু অং মাইন্ট এবং হেত হেত খাইন ২০২১ সালের আগস্টে মিয়ানমারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ সিথু অং মাইন্টকে ২২ এপ্রিল, ২০২২ ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করে৷

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের এক আদালত বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিককে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করে। ঐ সাংবাদিক ভয়েস অফ আমেরিকা এবং ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার সহ বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবাদ সরবরাহ করেন।

২০২১ এর আগস্টে সিথু অং মাইন্ট-কে গ্রেফতার করা হয়। তার সাথেই হেত হেত খাইন নামের আরেক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকও গ্রেফতার হন। মাইন্ট দুইটি অভিযোগের সম্মুখীন। অভিযোগগুলো প্রকাশিত এমন তথ্যের সাথে সম্পর্কিত যেগুলো কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করেছিল।

নিরাপত্তার খাতিরে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে এক আইনজীবী বলেন, সিতু অং মাইন্ট উস্কানি ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের দায়ে, মিয়ানমারের দণ্ডবিধির ৫০৫এ ধারায় আদালতে অভিযুক্ত হন। এছাড়াও, ১২৪এ ধারা অনুযায়ী তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্যও অভিযুক্ত করা হয়। ঐ ধারায় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে “অবজ্ঞা বা অসন্তুষ্টি” সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা সকল কিছুই শাস্তিযোগ্য হিসেবে বিবেচিত।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে, প্রথম অভিযোগের জন্য তিন বছর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় অভিযোগের জন্য ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার।

বৃহস্পতিবারের শুনানির পর এক আইনজীবী বলেন যে, আটক থাকাকালীন সিথু অং মাইন্টকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বুধবার আবারও আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে ঐ সাংবাদিকের।

মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করে ভিওএ’র পাঠানো ক্ষুদে বার্তার কোন জবাব দেয়নি মিয়ানমারের সামরিক প্রেস দল। ইতোপূর্বে সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল সামরিক বাহিনী।

সিথু অং মাইন্টের সাথে গ্রেফতার হওয়া আরেক সাংবাদিক, হেত হেত খাইন, মিয়ানমারের অবৈধ সংশ্লিষ্টতা আইনের আওতায় অভিযুক্ত।

তিনি ইনসেইন কারাগারে আটক রয়েছেন। তাকে প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী সামরিক বাহিনী কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়ে পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে আছেন।

পৃথক আরেক ঘটনায়, সো ইয়ারজার তুন নামের এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, ২০২১ এর জুনে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে কারামুক্তি পাওয়ার পর, এখন মিয়ানমারের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অভিযুক্ত হয়ে আবারও আটক হয়েছেন।

প্রতিশোধের আশঙ্কায় পরিচয় গোপন রাখার শর্তে, মামলাটির সম্পর্কে অবহিত এক ব্যক্তি ভিওএ-কে বলেন যে, ঐ সাংবাদিকের আইনজীবীরা মামলাটি সম্পর্কিত নথিপত্র পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

১লা ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১২২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জন এখনও আটক রয়েছেন বলে, রিপোর্টিং আসিয়ান ’এর তথ্য থেকে জানা যায়। প্রতিষ্ঠানটি আটকের ঘটনাগুলো অনুসরণ করে। আটকদের মধ্যে ২২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG