রবিবার “আর্মেনীয় গণহত্যা” আরম্ভের ১০৭তম বর্ষপূর্তি স্মরণ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। গণহত্যায় নিহত ১৫ লক্ষ আর্মেনীয়কে স্মরণ করে তিনি একটি বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয় এই আর্মেনীয়দের “হত্যাযজ্ঞের এক অভিযানে নির্বাসিত, বেপরোয়া হত্যা অথবা মৃত্যুমুখে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।”
বিবৃতিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বাইডেন আক্রমণটিকে একটি গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তবে বর্ষপূর্তির সুযোগে বাইডেন পররাষ্ট্রনীতির কিছু মূলনীতি তুলে ধরেছেন, যখন কিনা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনীয়দের অস্ত্রসজ্জিত করছে এবং রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, “সকল ধরণের হিংসার ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে আমরা নতুন করে অঙ্গীকার করছি।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করবে এমন নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে ও তা থামাতে আমরা আবার অঙ্গীকার করছি।”
১৯১৫ সালে অটোম্যান কর্মকর্তারা তৎকালীন কনস্টানটিনোপলে বা বর্তমান ইস্তাম্বুলে আর্মেনীয় বুদ্ধিজীবি ও সামাজিক নেতাদের গ্রেফতার করে। ২৪ এপ্রিল আরম্ভ হওয়া এই ঘটনাটি একটি গণহত্যার শুরু ছিল বলে বাইডেনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে, গত বছরের বর্ষপূর্তির সময়ে বাইডেন প্রথম “গণহত্যা” শব্দটি উল্লেখ করেন। বিগত সময়ের হোয়াইট হাউজের প্রশাসনগুলো কয়েক দশক ধরে ঐ শব্দ ব্যবহারে বিরত ছিল এই শঙ্কায় যে, তাতে নেটো সদস্য দেশ তুরস্ক ক্ষুব্ধ হতে পারে।
এক বছর আগে বাইডেনের ঘোষণায় তুরস্কের কর্মকর্তারা রাগান্বিত হন। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছিল, “১৯১৫ সালের ঐ ঘটনাগুলোর বিষয়ে, মৌলবাদী আর্মেনীয় গোষ্ঠী এবং তুরস্কবিরোধী দলগুলোর চাপের মুখে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিবৃতি আমরা প্রত্যাখ্যান করি এবং কঠোরতম ভাষায় সেটির নিন্দা জানাই”।