অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাঁক্রোর জয়লাভ


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং লা রিপাবলিক এন মার্শে (এলআরইএম) পার্টির পুনর্নির্বাচনি প্রার্থী ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো প্যারিসের চ্যাম্প ডি মার্সে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাঁক্রোর হাত ধরে আছেন। ২৪ এপ্রিল ২০২২
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং লা রিপাবলিক এন মার্শে (এলআরইএম) পার্টির পুনর্নির্বাচনি প্রার্থী ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো প্যারিসের চ্যাম্প ডি মার্সে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাঁক্রোর হাত ধরে আছেন। ২৪ এপ্রিল ২০২২

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও জয়লাভ করেছেন ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো। রবিবার (২৪ এপ্রিল) উগ্র ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন ল্য পেনের বিরুদ্ধে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ইস্যুতেই নয়, ইউরোপ, নেটো এবং বাকি বিশ্বে ফ্রান্সের ভূমিকা নিয়েও দুই প্রার্থী তীব্রভাবে ভিন্নমত পোষণ করেন।

ম্যাঁক্রো তার বক্তৃতায় বলেন, “এই দেশে অনেকেই আমার ধারণাকে সমর্থন করে আমাকে আমাকে ভোট দেননি বরং উগ্র ডানপন্থীদের দূরে রাখার জন্য আমাকে সমর্থন করেছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আমি জানি আগামী দিনগুলোতে আমি তাদের কাছে ঋণী থাকব”।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা হওয়া পর্যন্ত ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটই ম্যাঁক্রোর পক্ষে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ম্যাঁক্রোকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন, তিনি ফরাসি নেতার সঙ্গে “অবিরাম সহযোগিতা” অক্ষুণ্ণ রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিসহ অন্য ইউরোপীয় নেতারাও শুভেচ্ছা জানান। জেলেন্সকি ফরাসি ভাষায় টুইট করেছেন, “আমি নিশ্চিত যে আমরা নতুন যৌথ বিজয়ের দিকে এক সঙ্গে অগ্রসর হব। একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের অভিমুখে”!

রবিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্যান্টিনের মতো শহরের ওপর নির্ভর করতে পারত, যেখানে প্রথম দফায় ভোটাররা ম্যাঁক্রো বা ল্য পেনকে ভোট দেননি। ১০ জনের মধ্যে প্রায় ছয়জন ভোটার উগ্র-বাম প্রার্থী জ্যঁ-লুক মেলেনচনকে সমর্থন করেন। তিনি দ্বিতীয় দফায় দুই চূড়ান্ত প্রার্থীর কাউকে সমর্থন না করলেও সমর্থকদের ল্য পেনকে ভোট না দেওয়ার পরামর্শ দেন।

“আমি মনে করি আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে, তাই আমি ম্যাঁক্রোকে বেছে নেই”, ৩৮ বছর বয়সী বিপণন পরামর্শদাতা ফাতিম বলেন।

এটি ছিল ল্য পেনের বিরুদ্ধে ম্যাঁক্রোর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোটে অংশগ্রহণ। কিন্তু পাঁচ বছর আগে যখন ম্যাঁক্রো অতি-ডানপন্থী এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন নবাগত, যিনি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন, তিনি একজন পরিচিত মুখ এবং পরিবেশ ও অর্থনীতির মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলায় তার ভূমিকা নিয়ে ভোটাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এবারের নির্বাচন ছিল ল্য পেনের তৃতীয় অংশগ্রহণ। তিনি কিছুটা নমনীয় হয়েছিলেন, জীবনযাত্রার খরচের বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছিলেন এবং জনসম্মুখে মুসলিম নারীদের মাথায় স্কার্ফ পরিধান নিষিদ্ধ করার মতো পুরানো বিষয়গুলোও উপস্থাপন করেন।

ল্য পেন এবং ম্যাঁক্রো গত বুধবার তাদের বিতর্কের সময় দেশীয় ও বিদেশি নীতিতে তীব্রভাবে ভিন্ন অবস্থানের প্রস্তাব দেন। ল্য পেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার ত্যাগ করতে চান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও নেটোর মতো সংস্থাগুলোতে ফ্রান্সের অংশগ্রহণ হ্রাস করতে চান।

XS
SM
MD
LG