অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা ইউক্রেনে ফিরছেন


ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত থাকার মধ্যেই রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে এক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ২৪ এপ্রিল ২০২২।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত থাকার মধ্যেই রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে এক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ২৪ এপ্রিল ২০২২।

আমেরিকার কূটনীতিকরা এই সপ্তাহে ইউক্রেনে ফেরত যাওয়া্ আরম্ভ করবেন। একই সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধে সহায়তা করতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে সমর্থন এবং সাহায্য করতে অন্যান্য দেশকে একজোট করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েড কিয়েভ সফরের পর পোল্যান্ড যান। সেখানে ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেন যে, যখন একদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশে “নৃশংসতা” চালাচ্ছে, তখন অন্যদিকে “ইউক্রেনীয়রা অটল রয়েছে, এবং তারা সেটা সেই সমর্থনের জন্য পারছে, যেই সমর্থন আমরা আক্ষরিক অর্থেই সারা বিশ্ব থেকে সমন্বয় করে জোগাড় করেছি।”

ব্লিংকেন জানান যে, তিনি এবং অস্টিন প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শনের পাশাপাশি, জেলেন্সকির কাছ থেকে অব্যাহত যুদ্ধে তার দেশের কি দরকার তা শোনার জন্য সাক্ষাৎ করা হয় বলে ব্লিংকেন জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা প্রথমে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের লেভিভ শহরে যাবেন, যেখান থেকে অবশেষে কিয়েভ অবধি যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। ব্লিংকেন জানান যে, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টদূত হিসেবে ব্রিজিট ব্রিংককে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। ব্রিংক বর্তমানে স্লোভাকিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং নেটোর বেশ কিছু সদস্য দেশও কিয়েভে তাদের কূটনীতিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, ইতালি, স্লোভাকিয়া এবং স্লোভেনিয়া। ব্রিটেন সরকারও শুক্রবার জানিয়েছে যে, তারা শীঘ্রই কিয়েভে তাদের দূতাবাস আবার চালু করবে।

বিদেশী কূটনীতিকদের ফিরে আসাকে ইউক্রেনে নিরাপত্তার আভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে দেশটিতে প্রায় দুইমাস ধরে রাশিয়া গোলা ও বোমাবর্ষণ করেছে।

XS
SM
MD
LG