বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজাহান ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমডোর (অব.) রবিউল আউয়ালসহ আটজনের বিরুদ্ধে সোমবার (২৫ এপ্রিল) অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, “অভিযোগগুলো দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় এবং ঢাকার একটি আদালত জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি তদন্তে দুদককে নির্দেশ দিলে কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন”।
এর আগে পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার অভিযুক্তরা হলেন-বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দিন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমডোর (অব.) এম আব্দুস সালাম আজাদ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
মামলা অনুসারে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য তিনজনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের একটি নথি কার্যালয় থেকে ২০২০ সালে চুরি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের নির্দেশে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মী ফাতেমা নথিটি চুরি করে ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গেট ৪–এর সামনে ফরহাদকে দেন।
চার্জশিট অনুসারে, কে কোষাধ্যক্ষ হবেন সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে জাল নথিটি ৩ মার্চ অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছিল।
