বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঢাকা থেকে ঘরমুখী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কিন্তু পাটুরিয়া ফেরিঘাটের বড় দুটি ফেরি নষ্ট হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি পাঁচ শর বেশি পণ্যবাহী ট্রাক ঘাটে পারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত দুই দিন ধরে এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৯টি ফেরির মধ্যে “বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন” ও “এনায়েতপুরী” নামে দুটি বড় ফেরি নষ্ট হওয়ায় সেগুলো মেরামতে রয়েছে। এ ছাড়াও “হাসনাহেনা”, “রজনীগন্ধা” ও “মাধবীলতা” ফেরি তিনটি বিকল হলেও সেগুলোকে সাময়িক মেরামত করে পুনরায় চালানো হচ্ছে। ফেরি কমে যাওয়ায় এবং একসঙ্গে বাস-ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে হিমশিমে পড়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ নেওয়াজ বলেন, “ঈদযাত্রার ঘরমুখী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকও আসছে অনেক বেশি। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালেই ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫০০ ট্রাকসহ দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি। এক সঙ্গে এতো গাড়ি পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে”।
তিনি জানান, বিরতিহীনভাবে ফেরিগুলো চলাচল করায় কয়েকটি ফেরি বিকল হয়েছে। সেগুলোকে স্থানীয়ভাবে মেরামত করা হচ্ছে। ঈদে আগামী দুই দিনের মধ্যে এই বহরে নতুন দুটি ফেরি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ঘাট পরিদর্শনকালে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির জানান, ফেরিঘাটকে যানজট মুক্ত রাখাসহ ঈদের নিরাপদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।